ঢাকা: জাতীয় আয়কর মেলার মতো সব ধরনের করসেবা পুরো বছর দেশের অন্যান্য কর অঞ্চলেও চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিভিন্ন দৈনিকের সম্পাদকরা।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবের জাতীয় আয়কর মেলায় মতবিনিময় সভায় এ পরামর্শ দেন তারা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন বলেন, গত ৫ বছরে মেলায় কর প্রদানের ক্ষেত্রে একটি উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। এ মেলায় কর প্রদান ও সেবার সঙ্গে সবাই সম্পৃক্ত হতে পারছে। মেলায় কর আর সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা বিভিন্ন কর কার্যালয়েও নিশ্চিত করতে হবে।
‘আয়কর মেলা সার্থক হবে তখনই, যখন তা দেশের সব কর অঞ্চলে পাওয়া যাবে,’ বলেন তিনি।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অবজারভারের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ বদরুল আহসান বলেন, এক সময় মানুষের মধ্যে করফাঁকির প্রবণতা থাকলেও বর্তমানে তা কমে এসেছে। মেলার মতো উৎসাহ আর কর দেওয়ার এ সংস্কৃতি ধরে রাখতে হবে।
এনবিআর’র প্রতি তিনি বলেন, দেশে এক কোটি টাকার বেশি আয় করে এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭৫লাখ। তাদের কীভাবে করের আওতায় আনা যায় তাও এনবিআরকে নিশ্চিত করতে হবে।
বণিক বার্তার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হোমায়রা শারমিন বলেন, আয়কর মেলার পরিবেশ সন্তোষজনক। এনবিআর করসেবা নিশ্চিত ও কর ভীতি দূর করতে মেলার মতো একটি উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছে।
সভায় কর অঞ্চল-১ এর কমিশনার জিয়া উদ্দিন মাহমুদ বলেন, মেলার বাইরেও সেবা দিতে এনবিআর প্রস্তুত। সে চর্চা হচ্ছে। করদাতা আর কর্মকর্তারা যেদিন এক হাত ধরে হাটবেন সেদিন সব সেবা নিশ্চিত হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, অন্যকে বদলাতে হলে আগে নিজেকে বদলাতে হবে। এনবিআর কর্মকর্তারা বদলাচ্ছেন, বদলেছে সেবা। মেলার বাইরেও সারাবছর সেবা দিতে এনবিআর কর্মকর্তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
মেলার মতো এসব উদ্যোগ প্রমাণ করে এনবিআর সুশাসনে বিশ্বাসী বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, মানুষের উৎসাহের ফলে আগামীতে কর মেলার পরিধি ও সময় বাড়ানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
আরইউ/এমএ