ঢাকা: এবার রাজধানীর ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে। মাঝে দুইদিন ও দুইরাত পার হলেই শুক্রবার ভোরে খুশির ঈদ।
মঙ্গলবারই ঢাকা অনেকটা ফাঁকা। আপনজনের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকেই বাড়ির পথে। যানজটের মহাচিন্তা তো রয়েছেই। সেইসঙ্গে গত ২/৩ দিন ধরে চলছে থেমে থেমে বৃষ্টি। বৃষ্টির ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে তাই অনেকেই সকাল বেলাই আগেভাগে দেশের বাড়িমুখো। ঝক্কি-ঝামেলা দিনেই সামলাতে চাইছেন ঘরমুখো মানুষজন।
যে কারণে ঢাকার ফুটপাথের মার্কেটে খরিদ্দারহীন চিত্র দেখা গেল।
মঙ্গলবার সকাল দশটায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনের ফুটপাথের মার্কেটে অনেক দোকান বন্ধ থাকতে দেখা গেল। যাও কিছু দোকান খোলা সেখানে নেই কোন খরিদ্দার। অফিস বা কর্মজীবী মানুষ ফাঁকা পেয়ে মার্কেটের ভেতর দিয়ে গন্তব্যের পথে ছুটে চলেছেন। কেনা-কাটার দিকে নজর নেই।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সকাল ১০টার চিত্র অতটা না থাকলেও খরিদ্দার আছে। দরদামও তারা করছেন। কিন্তু বেচাকেনা তেমন নেই।
নোয়াখালীর হানিফ গত ১২ বছর ধরে মোকাররম মসজিদের সামনের ফুটপাথের মার্কেটে কাপড়ের দোকানের ব্যবসা করেন। তার রেডিমেড জামার দোকান। কেমন বেচাকেনা জানতে চাইলে শুকনো মুখে জবাব দিলেন, দেখতেই পাচ্ছেন- খরিদ্দার নেই।
এমন খারাপ বেচাকেনা আগের কোন ঈদে হয়নি। তার কথায় ‘বুধবার অফিস খোলা বটে। কিন্তু খরিদ্দার পাব বলে ভরসা পাচ্ছি না। মঙ্গলবারই কোন খরিদ্দার নেই। পরের দিন বুধবার ভরসা পাব কি করে। আর বৃহস্পতিবার থেকেই সরকারিসহ অন্যান্য অফিস ছুটি। লোক কি ঢাকায় থাকবে? তার ওপর বৃষ্টিতে অনেকে ঘরের বাইরে বের হতে চাইছেন না। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা।
পাশেই তরুণ দোকানিকে কর্কশ স্বরে বলতে শোনা গেল- আজ আমার কাছে যেসব খরিদ্দার এসেছে সব ফকিরনি। খালি দরদাম করে। কেনার দামও বলে না বেচি কি করে। বুঝছি এবার কপালে ঈদ করা হবে না।
দৈনিকবাংলা মোড় থেকে শুরু করে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনের ফুটপাথ ধরে পল্টন পর্যন্ত সব দোকানেই এক চিত্র। বেচাকেনার ব্যস্ততা অনুপস্থিত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
এসএস/আরআই