আফতাবনগর (মেরুল বাড্ডা) থেকে: ঈদের একদিন আগে বৃষ্টি আর কাদার মধ্যে বেচা-কেনার ধুম পড়েছে রাজধানীর আফতাবনগরের কোরবানির পশুর হাটে। আগের দিনগুলির চেয়ে বুধবার দামও কিছুটা কমেছে বলেও জানিয়েছেন ক্রেতারা।
রামপুরা ব্রিজ থেকে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ভেতরে খানিকটা পায়ে হেঁটে বেইলি ব্রিজ পার হলে রাস্তার দুপাশে বসেছে প্রায় ৪ বর্গকিলোমিটারের এই হাট। গত দুই দিন ক্রেতা কম থাকলেও বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
সকালের দিকে রিকশা-গাড়ি নিয়ে ভেতরে ঢোকার সুযোগ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে প্রধান সড়ক থেকে ভেতরের দিকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় হাট কর্তৃপক্ষ।
এ হাটে রাজশাহী, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, বগুড়া, ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু নিয়ে এসেছেন বেপারীরা। হাটের বেশিরভাগই দেশি গরু। ভারতীয় গরুর সংখ্যা খুবই কম।
দুপুর ১২টার দিকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে দেশি গরু কিনেছেন গুলশান-১ এর বাসিন্দা খায়রুল আনাম। তিনি জানান, দুদিন আগে এ গরু কিনলে প্রায় দেড় লাখ টাকা পড়তো। আজকে দাম কিছুটা কমই মনে হচ্ছে। আজ বিক্রিও হচ্ছে বেশি।
প্রায় কাছাকাছি সাইজের একটি গরু ৮৯ হাজার টাকায় কিনেছেন মহানগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সোহরাব খান।
দাম বেশি না কম পড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে দাম কিছুটা কম। তবে মুলামুলি করে যে যেভাবে পারছে কিনছে। আমাদের তো গরু কেনার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।
৩৫ হাজার টাকা দিয়ে গরু কেনার পর তেজগাঁও এলাকার বাসিন্দা আরিফ জানান, এবার একাই কোরবানি দিচ্ছি। তাই ছোট সাইজের গরু কিনলাম। দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় ভালো লাগছে।
গরু বেচা-কেনার বিষয়ে পাবনার বেপারী আব্দুল আলী বলেন, ২/৩ দিন ধরে বৃষ্টিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। বাজারে অনেক কাদা। এর মধ্যে ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। তাই অল্প লাভ হলেও ছেড়ে দিচ্ছি।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৩৫ হাজার থেকে শুরু করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দামের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে মাঝারি সাইজের গরুর প্রতি বেশি আগ্রহ ক্রেতাদের। যেগুলোর দাম গড়ে ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।
এদিকে হাটের নিরাপত্তায় আইন শৃংখলা বাহিনীর নিরাপত্তা চোখে পড়ার মতো। যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারি করছে র্যাব ও পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
ইএস/এমজেএফ