ঈশ্বরদী (পাবনা): ঈদে কোরবানির পশুর চামড়ার ব্যবসা নিয়ে হতাশ উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় চামড়ার মোকাম ঈশ্বরদীর ব্যবসায়ীরা।
ঈদুল আজহায় ঈশ্বরদীতে প্রায় দুই কোটি টাকার চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
তারা বাংলানিউজকে জানান, সারাবছর অপেক্ষার পর ঈদুল আজহায় ঈশ্বরদীর চামড়া ব্যবসায়ীদের ভালো লাভের আশা এবার পূরণ হয়নি। বরং লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
চামড়া ব্যবসায়ী আশাদুজ্জামান জানান, খুচরা দামে চামড়া কিনে লবণ দিয়ে গুদামজাত করে রাখা হলেও এখনো ট্যানারিতে পাঠানো সম্ভব হয়নি।
ব্যবসায়ী আশাদুজ্জামান জানান, এবার ঈদুল আজহায় ঈশ্বরদীতে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার গরুর চামড়া ও প্রায় ২০ হাজার খাসির চামড়া বেচা-কেনা হয়েছে। প্রতিটি গরুর চামড়া গড়ে ৮শ’ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা ও প্রতিটি খাসির চামড়া গড়ে ২/ ৩শ’ টাকা দরে বেচা-কেনা হয়।
তবে নিয়মিত ব্যবসায়ীদের চেয়ে ফড়িয়া ও মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা মাঠ পর্যায় থেকে চামড়া সংগ্রহ করায় চামড়ার দর নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, এবার সরকারিভাবে চামড়ার দাম কমিয়ে দেওয়া হলেও ঈশ্বরদীর চামড়া ব্যবসায়ীরা ফড়িয়া ও মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া দামে চামড়া কিনে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি সূত্র জানায়, ইতোপূর্বে পাশের দেশ ভারতে খাসির চামড়ার দাম বেশি ও চাহিদা থাকায় নদীপথে ভারতে চামড়া পাচার করতো ঈশ্বরদীর একটি চক্র। কিন্তু এবার ভারতেও চামড়ার চাহিদা কমে যাওয়া ও সেখানকার বাজারে দাম কমার কারণে সে চক্রটিও এখন সক্রিয় নেই।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, এবার ঈদে কেনা প্রায় দুই কোটি টাকার চামড়া এখন ঈশ্বরদীতেই বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৫
এএটি/এসআর