ভোলা: এবার ঈদুল আজহায় বেশি দামে কোরবানির পশুর চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন ভোলার চামড়া ব্যবসায়ীরা।
চড়া দামে কিনলেও পাইকারি বাজারে চামড়ার দাম কম থাকায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।
মৌসুমী ব্যবসায়ীদের জন্যই চামড়া ব্যবসায় এমন ধস নেমেছ বলে অভিযোগ এসব ব্যবসায়ীদের।
তাদের দাবি, বিগত বছরগুলোতে চামড়া বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হলেও এ বছর চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অনেকে লোকসানের আশঙ্কায় চামড়া বিক্রি ও ক্রয় বন্ধ করে দিয়েছেন।
তারা জানান, ভোলা শহরের কালীনাথ রায়ের বাজারের মোল্লাপট্টিতে চামড়ার বড় আড়ত। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানি ঈদ এলেই জমে ওঠে এ আড়ত। কিন্তু এ বছর স্থানীয় বাজার ও পাইকারি বাজারে দামের অনেক তফাত থাকায় আড়ত তেমন জমেনি।
ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া কিনেছেন। কিন্তু ট্যানারি মালিকরা চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিলেও প্রায় দ্বিগুণ দামে চামড়া কিনতে হয়েছে তাদের। ফলে লাভ তো দূরের কথা লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা।
চামড়া ব্যবসায়ী আবদুল মালেন নুরু জানান, স্থানীয়ভাবে ফুটপ্রতি ৬৫-৭০ টাকা ও পিস প্রতি ১৫’শ থেকে ২ হাজার টাকা দরে চামড়া কিনতে হয়েছে। অথচ পাইকারি বাজারে দাম অনেক কম। তাই লোকসান হতে পারে।
অপর ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াস বলেন, প্রতি বছর চামড়া বিক্রি করে লাভবান হয়েছি, কিন্তু এ বছর লোকসান হতে পারে।
জানা গেছে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন অধিকাংশ চামড়া ব্যবসায়ী। কিন্তু এ অবস্থা তৈরি হওয়ায় বেচা-কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। অনেকে দাম বৃদ্ধির আশায় রয়েছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চামড়া কিনেছি। এবার লাভ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
ইউসুফ হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, পাইকারি বাজারে দাম অনেক কম। তাই কেনা-বেচা বন্ধ করে দিয়েছি। দাম বাড়লে বিক্রি শুরু করবো।
তবে সরকারের নজরদারি ও দাম বৃদ্ধি হলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন ভোলার চামড়া ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
এএটি/এসআর