ঢাকা: সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, সৃষ্টিশীল কাজ এবং প্রতিভা বিকাশের চর্চা যারা করছেন, তাদের উচিত পরবর্তী প্রজন্মকে এ কাজে উৎসাহিত করা। প্রতিভা শুধু জিপিএ-৫ অর্জন নয়।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় ধানমণ্ডির দৃক গ্যালারিতে ইস্টার্ন ব্যাংকের (ইবিএল) আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
পরে মন্ত্রী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং গ্যালারি ঘুরে দেখেন।
ইবিএলে কর্মরতদের তোলা ‘মানুষ ও স্থান’ বিষয় ভিত্তিক বাছাইকৃত ৫৪টি আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে শনিবার (১০ অক্টোবর) পর্যন্ত।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আরও বলেন, ইবিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও যে বিশাল সুপ্ত প্রতিভা আছে তা এখন জানা গেলো। এখন উচিত হবে, তার যথাযথ লালনের উদ্যোগ নেওয়া।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ইবিএল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই অনন্য প্রতিভার অধিকারী। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিভাবানদের যেমন বের করা গেলো তেমনি ইবিএল ব্র্যান্ডের সঙ্গে তাদের আবেগঘন সম্পর্ক স্থাপন করাও হলো।
অনুষ্ঠানে জানোনো হয়, ইবিএল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আয়োজিত এ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় ২২৯টি আলোকচিত্র জমা পড়ে।
পরে খ্যাতিমান আলোকচিত্রী আনোয়ার হোসেন, মুনিরা মোর্শেদ মুন্নি এবং হাসান এস চন্দনের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেল ১২টি আলোকচিত্র ক্যালেন্ডারের জন্য নির্বাচিত করেন। আর ৫৪টি ছবি প্রদশনীর জন্য নির্বাচন করা হয়।
ইস্টার্ন ব্যাংকের চক মোঘলটুলি শাখার আশিকুর রহমান ‘দিনের শেষে’ শীর্ষক আলোকচিত্রটির জন্য প্রথম স্থান অধিকার করেন। ‘দলগত শক্তি’ আলোকচিত্রটি দ্বিতীয় পুরস্কার এনে দেয় ব্যাংকের অলটারনেটিভ ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মো. অন্তর জামানকে। কর্পোরেট ব্যাংকিংয়ের রিফাত নাসরিন তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। তার আলোকচিত্রটির নাম ছিল ‘ঔৎসুক্য’।
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড তাদের ‘এমপ্লয়ি এনগেজমেন্ট কর্মসূচি’র আওতায় ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৫
এসএ/এএসআর