ঢাকা: দেশের সবার কাছে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়টি পরিচিত করানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে মোবাইল টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন (জিপি)।
এসডিজি’র ১৭টি নতুন লক্ষ্য অর্জনে এবং এ লক্ষ্যগুলোকে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে দেশের মানুষের জন্য বোধগম্য ও অর্থপূর্ণ করার প্রয়াস নিয়ে ‘প্রজেক্ট এভরিওয়ান’ সফলভাবে সম্পন্ন করতে জাতিসংঘকে সহায়তা করবে জিপি।
বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জিপি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত ও টেকসই সমাজ বিনির্মাণে গ্রামীণফোনের নিজস্ব প্রয়াস ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ রূপকল্প এবং এসজিডি উদ্যোগ প্রচারণায় একই সঙ্গে ভূমিকা রাখবে জিপি।
এসজিডি প্রচারণাকে উৎসাহিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে জিপি’র হেড অব কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটি দেবাশীষ রায় বলেন, যে সব দেশে টেলিনরের কার্যক্রম রয়েছে, সেখানে জাতিসংঘকে সহায়তা করার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আমরা এ সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে ৭০০ কোটি মানুষকে এ লক্ষ্যমাত্রার কথা জানাতে জাতিসংঘ মোবাইল অপারেটরদের সহায়তা চেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিপি ইতিমধ্যে এ প্রকল্প সফলভাবে সম্পাদন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- গ্রাহকদের এসএমএস দেওয়া; ফেসবুক, টুইটার, লিংকড ইন’র মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো; প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে প্রচারণার জন্য ওয়েব আর্টিকেল, ডেস্কটপ ওয়ালপেপার তৈরি করা, গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজ এবং নিটল-নিলয় টাওয়ারের কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার ও এর সব আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রচারণামূলক সজ্জা এবং সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে এ লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ এসডিজি কর্মসূচি শুরু করে। এসডিজি বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা নামেও পরিচিত। এ বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ধারাবাহিক প্রয়াসের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র দূরীকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করা। আর এ উদ্যোগ তখনই সফল হবে যখন পৃথিবীর সবাই এ ব্যাপারে সচেতন হবে।
এ লক্ষ্যপূরণ হয়ে গেলে জাতিসংঘ পৃথিবীর প্রত্যেকের জন্য স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও নিশ্চিত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাজ করবে।
জাতিসংঘের সহায়তায় ‘প্রজেক্ট এভরিওয়ান’ একটি উদ্যোগ, যার লক্ষ্য ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে সবাইকে এসডিজি বিষয়ে সচেতন করার জন্য বিশ্বজুড়ে টিভি, রেডিও, প্রিন্ট, ওয়েব, সোস্যাল মিডিয়া, মোবাইলের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো।
প্রকল্পটিতে সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ, জাতিসংঘ ফাউন্ডেশন, বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, উইকিপিডিয়া, সেভ দ্য চিলড্রেন, ভার্জিন, ইউনিলিভার ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৫
এমআইএইচ/আরএম