ঢাকা: গাড়ি ব্যবসায় অর্থনৈতিক খাতের ভূমিকা শীর্ষক গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছে বহুজাতিক অনলাইন গাড়ি ক্রয়-বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ‘কারমুডি’।
সোমবার (০৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ গবেষণা পত্র প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দীর্ঘদিন ইতিবাচক ধারায় থাকায় দেশে গাড়ি বিক্রির সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৭ সালে প্রবৃদ্ধির ধারা ৬.৫ ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় দেশে কর্মসংস্থানের পরিমাণ বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে দেশে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণও। ফলে গাড়ির বিক্রির পরিমাণও বাড়বে।
গবেষণা পত্রে আরও বলা হয়, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশের ভোক্তা ঋণের পরিমাণ ছিল ২৩.৪২ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৫ সালের এপ্রিলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭.৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে শিল্পখাতে ঋণের পরিমাণ কমে যাওয়ায়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সে সময়ে ভোক্তা ঋণের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ব্যাংক গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে আগে যেখানে ৩০ ভাগ অর্থ ঋণ দিতো বর্তমানে তা ৫০ ভাগ করার উদ্যোগ নিতে পারে। এছাড়া ঋণ দেওয়ার পরিমাণও ২০ লাখের জায়গায় ৪০ লাখ করতে পারে বলে গবেষণা পত্রে সুপারিশ করা হয়।
গবেষণা পত্রে ২০১৯ সালে গাড়ি বিক্রির পরিমাণ ৩৮.৬ ভাগ বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে কারমুডি’র বাংলাদেশ প্রধান জো পেড্রো প্রিস্সিপে বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে বছরে ৯ হাজার গাড়ি কার লোনের মাধ্যমে বিক্রি হয়। যা মোট গাড়ি বিক্রির ৮৭ ভাগ।
অনুষ্ঠানে ব্রাক ব্যাংকের কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বিভাগের প্রধান মোসলেহ শাদ্ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে গাড়ির একটি বাজার তৈরি হচ্ছে। এক বছর আগে এ খাতে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিধিনিষেধ ছিল। তাছাড়া সেসময় গাড়ির দামও ছিল তুলনামূলক বেশি। বর্তমানে এইসব প্রতিবন্ধকতা কমে আসায় গাড়ি বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দেশের ঊর্ধ্বতনরা যানজটের জন্য ছোটগাড়িকে দায়ী করেছেন। কিন্তু যানজটের মূলকারণ রাস্তা। তাই সরকারি ঊর্ধ্বতনরা যখন গাড়ির বিরুদ্ধে কথা বলেন, তখন এই ব্যবসা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।
তিনি ঢাকার বাইরে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
বিস্তারিত জানতে : http://www.carmudi.com.bd/whitepaper/car-financing-bangladesh-bg/
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২১০৫
আরএম/এমজেএফ