ঢাকা: জ্বালানি ও মোটা চালের দাম বাড়ার কারণে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার চড়া। যে কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বিবিএস তথ্যে দেখা যায়, গ্যাসের দুই চুলায় এখন মাসিক খরচা ৬৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০০ টাকা, ইউনিট প্রতি ১৩ পয়সা বাড়তি বিদ্যুৎ খরচও বহন করতে হচ্ছে ভোক্তাকে। অন্যদিকে মোটা চালে কেজিপ্রতি ২৪ পয়সা ও সাধারণ মানের চালে ২৭ পয়সা বেড়েছে। একই সঙ্গে পান মসলা ও সাধারণ মানের মশুরডালেও কেজিপ্রতি ৩ টাকা ২৪ পয়সা বেড়েছে। যে কারণে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার চড়া।
আগস্টে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বর মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) শেরেবাংলা নগর পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া সেপ্টেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বিবিএস-এর হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, জ্বালানি ও ঈদে পোশাক কেনা-কাটার কারণে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। আগস্ট মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, সেপ্টেম্বর মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
খাদ্যে সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ, আগস্টে ছিল ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঈদে সবার পোশাক কেনাকাটায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হওয়ায় মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
এমআইএস/এএ