ঢাকা: কোরবানির মাংস সংরক্ষণের জন্য এবার ক্রেতা আকৃষ্ট করেছে ওয়ালটনের ডিপ ফ্রিজ। বাংলাদেশে উৎপাদনকারী ব্র্যান্ড ওয়ালটনেরই রয়েছে বড় ডিপযুক্ত সাধারণ ফ্রিজ।
বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, দামে সাশ্রয়ী, অসংখ্য কালার-ডিজাইন ও মডেল এবং সারা দেশে বিস্তৃত আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস নেটওয়ার্কের কারণে গ্রাহকদের কাছে ওয়ালটনের কদর বেশি। এর বাইরে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি, কম্প্রেসারে ৮ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি সুবিধাসহ তিন বছরের সহজ কিস্তিতে কেনা যাচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়েছে ন্যানো পার্টিকেলযুক্ত উন্নত প্রযুক্তি। এতে কোনো ক্ষতিকর সিএফসি বা এইচসিএফসি গ্যাস নেই। রয়েছে ৮০ শতাংশ বিদ্যুত সাশ্রয়ী এলইডি বাল্ব। শতভাগ কপার কন্ডেন্সার ব্যবহারের ফলে ফ্রিজ হয় দীর্ঘস্থায়ী এবং বিদ্যুত সাশ্রয়ী।
জানা যায়, রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং খুলনার কয়েকটি শো-রুমে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ফ্রিজের চাহিদা। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজারের বিক্রি বেড়ে যায়। প্রধানত কোরবানির গোসত সংরক্ষণের জন্য ঈদের আগে ব্যাপকহারে ফ্রিজ বিক্রি হয়। এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভ্যাপসা গরম। সবমিলিয়ে ফ্রিজ বিক্রির হিড়িক পড়ে যায়।
ওয়ালটনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার আবু রাফা মো. নাঈম জানান, তাদের ডিপ ফ্রিজ এবং সাধারণ ফ্রস্ট ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে আশাতীতভাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অনেকেরই দুটি ফ্রিজ কেনার সামর্থ নেই। এজন্য তারা বড় ডিপযুক্ত ওয়ালটন ফ্রিজ বেশি কিনছেন। ফলে একটি ফ্রিজেই তাদের চাহিদা মিটে যাচ্ছে। যাদের সামর্থ আছে তারা ওয়ালটনের ডিপফ্রিজও কিনছেন।
খুলনা অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার ফারুক হোসেন বলেন, কোরবানির ঈদই ফ্রিজ বিক্রির প্রধান সময়। এবার ইদ নিয়ে ওয়ালটনের আগাম প্রস্তুতি ছিল। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরবরাহ বাড়ানো হয়।
ওয়ালটনের বাড্ডা প্লাজার ম্যানেজার মনির হোসেন জানান, ক্রেতাদের মধ্যে সম্প্রতি নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বড় ডিপ ফ্রিজের দিকে। অন্য ব্র্যান্ডগুলো মার খেয়ে যাচ্ছে ওয়ালটনের কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৫
বিএস