ভোলা: প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনা-তেতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারে নেমে পড়েছেন ভোলার জেলেরা।
শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) রাত ১২টায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন মৎস্যঘাট থেকে জাল ও নৌকা নিয়ে নদীতে ছুটে চলেন তারা।
এদিকে, মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে ফের সচল হতে শুরু করেছে জেলার মৎস্যঘাটগুলো। পাইকার, আড়ৎদার, জেলে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাকে এখন সরগরম হচ্ছে এসব ঘাট।
মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে দাদনের দেনা পরিশোধের পাশাপাশি পরিবার-পরিজনের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার চিন্তা তাদের। একই সঙ্গে সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টাও শুরু করছেন তারা।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, মজুদ, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করে সরকার।
এই ১৫ দিন জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান কিংবা পুর্নবাসনের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি বলে জেলেদের অভিযোগ। এতে বেকার হয়ে চরম সংকটের মধ্যে দিন পার করেন জেলেরা। তবে কেউ কেউ পেটের দায়ের মাছ শিকার করতে গিয়েও প্রশাসনের হাতে আটক হয়েছেন।
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, ১৫ দিনে তিন শতাধিক জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ জাল, ট্রলার ও ইলিশ। সার্বক্ষণিক জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, কোস্টগার্ড অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে ইলিশ মাছ রক্ষা অভিযান সফল হয়েছে বলে দাবি মৎস্য বিভাগের।
ভোলার মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতিষ কুমার মল্লিক জানান, ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ, তাই জেলেরা এখন নদীতে নেমে পড়েছেন।
শনিবার থেকে ভোলার সাতটি উপজেলার তিন শতাধিক মৎস্যঘাট ও ৩২টি বরফ কল খোলা হয়েছে। এতে ইলিশ ব্যবসা ফের জমে উঠেছে। শনিবার থেকেই জেলার বাইরে ইলিশ পাঠানো শুরু হয়েছে।
এতে জেলে, মৎস্যজীবী, ব্যাপারি ও আড়ৎদারসহ সংশ্লিষ্টরা সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন- এমন প্রত্যাশাই তাদের।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার কারণে রাজধানীর বিভিন্ন আড়তে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশ মাছ পাওয়া যায়নি।
কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী আড়তের ব্যবসায়ীরা জানান, শনিবার থেকে ইলিশ মাছ আসা শুরু করবে। রোববার থেকে বাজারে ইলিশের স্বাভাবিক চালান থাকার আশা করছের ব্যবসায়ী ও আড়ৎদারেরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৫
এমআইএইচ/জেডএস