ঢাকা: কূটনৈতিক পাড়া খ্যাত রাজধানীর গুলশানে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করেছে সরকারি প্রশাসন। বিভিন্ন দূতাবাসের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বাসভবনেও নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।
গুলশান-২ এর নর্থ অ্যাভিনিউ রোডে গভর্নরের সরকারি বাসভবন ‘গভর্নর ভবন’। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখানেই স্বপরিবারে বসবাস করছেন এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তার নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে আসে। সেই হেফাজতের আন্দোলনের সময় তাঁর বাসায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিলো। এরপর মাঝে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাড়তি নিরাপত্তা রক্ষী সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু কূটনৈতিক হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর বাসার নিরাপত্তার বিষয়টি আবারো সামনে এসেছে।
গভর্নর ভবনের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত রক্ষীদের একজন আব্দুল আজিজ। বাড়ি নওগাঁ জেলায়। প্রায় পাঁচ বছর থেকে এ দায়িত্ব পালন করছেন। রোববার বিকেলে গভর্নরের বাসার সামনে সহকর্মী স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট শাকিল আহমেদ মটর সাইকেল থামালে সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে আসেন তিনি। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘স্যার, এটা গভর্নরের বাসা। নিরাপত্তার জন্য এখানে দাঁড়ানো নিষেধ। ’
নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশের টহলরত অবস্থায় ছবি তোলার জন্য দাঁড়িয়েছি। পাঁচ মিনিট পরেই চলে যাবো-এই বলে তাকে আশ্বস্ত করা গেল। তারও বুঝতে বাকি রইল না এরা সাংবাদিক। এক মিনিটের মধ্যেই আলাপচারিতায় সহজ হয়ে উঠলেন তিনি। আজিজ জানান, বিদেশি খুন হওয়ায় ব্যাপক কড়াকড়ি চলছে। শনিবার ব্যাংক থেকে জেনারেল ম্যানেজারসহ (জিএম) ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসেছিলেন। বাড়ি চারপাশে ভালো করে দেখে গেছেন। ১২টি শক্তিশালী সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা বসানো হবে।
এই প্রথম গভর্নরের বাসায় সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। মূল ফটকসহ বাড়ির চারপাশে ও ভেতরে ক্যামেরাগুলো লাগানো হবে। এছাড়া নিরাপত্তা রক্ষায় গত চারদিন ধরে বিকেলে আনসার বাহিনীর চারজন সদস্য আসেন। তারা ডিউটি শেষে সকাল ছয়টায় চলে যান। স্যারের বাসায় নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে- বলেন আজিজ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ায় ইতালীয় নাগরিক তাবেলা সিজার এবং এর ছয় দিনের মাথায় ৩ অক্টোবর রংপুরের এক গ্রামে একই কায়দায় খুন হন জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি। এরপর সরকার গুলশান ও আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৫
ইইউডি/আরআই