ঢাকা: ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সহায়তায় বাংলাদেশের প্রথম চাইল্ড হেল্প লাইন সেবা সম্প্রসারণে অংশীদার হয়েছে বেসরকারি মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন।
গ্রামীণফোন থেকে বিনা খরচে ১০৯৮ নম্বরে ডায়াল করে এ সেবা পাওয়া যাবে।
সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে।
দুই বছর মেয়াদী এ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এডোয়ার্ড বেগবিদার এবং গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসির আজমান ও চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও ছিলেন বাংলাদেশে টেলিনরের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসার হ্যান্স মার্টিন হোয়েগ হেনরিকসন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্রামীণফোনের এ হেল্প লাইন সেবা ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের উদ্ধার, নিরাপদ আশ্রয়, পুনর্বাসন ও নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত করে সমাজে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করবে।
এদিকে বিনামূল্যের ‘১০৯৮’ চাইল্ড হেল্পলাইনটি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদফরের একটি প্রকল্প। যা ২০১১ সাল থেকে রাজধানীর ঝুঁকিতে থাকা অসহায় ও দুঃস্থ শিশুদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
সহযোগী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজি) অপরাজেয় বাংলাদেশ’র মাধ্যমে শিশু হেল্পলাইন সেবাটি দিচ্ছে ইউনিসেফ।
বিগত দিনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে অনুষ্ঠানে এডোয়ার্ড বেগবিদার বলেন, চাইল্ড হেল্পলাইন এতটাই সফল হয়েছে যে, আমরা এ সেবার সম্প্রসারণ করতে চেয়েছি। গ্রামীণফোন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে একত্রে কাজ করার মাধ্যমে সে চাওয়া বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
‘এখন থেকে আরও বেশি অসহায় শিশু তাদের প্রয়োজনে যেকোনো সময় পেশাদারী সহায়তা পাবে। আমরা গ্রামীণফোন ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহায়তার জন্য,’ বলেন তিনি।
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসির আজমান বলেন, সমাজের ক্ষমতায়নের দিকেই গ্রামীণফোনের দৃষ্টি। দুর্দশাগ্রস্ত শিশুদের ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে চাইল্ড হেল্পলাইন নিজেকে প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশে এ সেবার প্রসার ঘটাতে পেরে আমরা বেশ আনন্দিত।
সমাজের ক্ষমতায়নে এ ধরনের উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামীণফোন এ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করতে পেরে গর্বিত।
টেলিনর বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসার হ্যান্স মার্টিন হোয়েগ হেনরিকসন বলেন, মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে শিশুদের অধিকার রক্ষায় ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করতে পেরে টেলিনর গর্বিত।
পাইলট প্রকল্পের সফলতার ওপর নির্ভর করে অতিরিক্ত ১০ উপজেলা এবং ঢাকা ও খুলনাসহ দুই সিটি করপোরেশন ও দাকোপ, ডিমলা, ডোমার, নীলফামারী সদর, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় শিশু হেল্পলাইন সম্প্রসারণে সহায়তা করছে গ্রামীণফোন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে টেলিনর এএসএ এবং ইউনিসেফের বৃহত্তর বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত প্রকল্পটি ইউনিসেফ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামগ্রিক নির্দেশের অধীনেই পরিচালিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫, আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমএ