ঢাকা: গুজরাটে টেক্সটাইল পার্ক স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ। এজন্য প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় হিসাবে ২৮৭-৩৬০ কোটি টাকার বিনিয়োগ বরাদ্দও নির্ধারণ করা হয়েছে।
গুজরাটের সবচেয়ে বড় শহর আহমেদাবাদের কাছে মেহসানা জেলার কাদি শহরে এ প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে একশ একর জমি চেয়েছে বাংলাদেশ। এ পার্কে এক লাখ সুতা কাটার যন্ত্রের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্পিনিং ইউনিট বসানো হবে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে।
গত মাসে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (বিসিসিআই), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট মেনুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্সের (বিজিএমই) প্রতিনিধি দল গুজরাট সফর করেছেন। এরপরই রাজ্য সরকারের কাছে টেক্সটাইল পার্ক স্থাপনের প্রস্তাবটি দেওয়া হয়।
গুজরাট সরকারের শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিষয়ক কমিশনার মমতা ভার্মা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা সুতা উৎপাদনেই বিনিয়োগ করতে চায়। তবে পরে গার্মেন্ট পণ্য উৎপাদনেও বিনিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে তারা। বাংলাদেশ গুজরাট থেকে সুতা আমদানি করে। কাজেই এই পার্ক স্থাপন করলে তাদের পণ্য উৎপাদন ব্যয় কমে আসবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে এ প্রকল্প বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস।
বিশ্বে গার্মেন্ট পণ্য উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ শিল্পের মূল উপাদান কার্পাস ও সুতা। বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৫৫ লাখ বেল (১৭০ কেজিতে এক বেল) কার্পাস আমদানি করে থাকে, যার ৭০ শতাংশই ভারত থেকে আসে। আর এর সিংহভাগ গুজরাট থেকে আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
আরএইচ