ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বৃহস্পতিবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে ‘৪র্থ শোকেস মালয়েশিয়া’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
বৃহস্পতিবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে ‘৪র্থ শোকেস মালয়েশিয়া’

ঢাকা: আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএমসিসিআই) আয়োজনে ‘৪র্থ শোকেস মালয়েশিয়া ২০১৫’। হোটেল সোনারগাঁওয়ের গ্র্যান্ডরুমে এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৭ই অক্টোবর পর্যন্ত।



মঙ্গলবার(১৩ অক্টোবর) এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার নরলিন বিনতি ওথম্যান, বিএমসিসিআইয়ের সভাপতি নাসির এ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মালয়েশিয়া এক্সর্টানাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশনের পরিচালক আবু বকর কোয়াকুত্তি, ট্রেজারার সৈয়দ আলমাস কবির এবং রবি’র চিফ কর্পোরেট ও প্রটোকল কর্মকর্তা মতিউল ইসলাম নওশাদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার পণ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতে এবং নির্ভশীলতা আনতে বিএমসিসিআই এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়াও মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার নরলিন বিনতে ওথম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাতলুব আহমাদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে উপস্থিত থাকবেন।

সম্মেলনে জানানো হয়, প্রদর্শনীতে মালয়েশিয়ার প্রয় ৫৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। যেখানে প্রস্তুতকরণ, রফতানিকারক, ট্রেডার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সেবা প্রদানকারী সংস্থা, টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংক, বীমা, তথ্য প্রযুক্তি, পর্যটন,স্বাস্থ্যখাতের প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত থাকবে। প্রদর্শনী চলাকালীন বাংলাদেশি আগ্রহী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মালয়েশিয়ান ব্যবসায়ীদের ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকের সুযোগ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মালয়েশিয়া শুধুমাত্র বাংলাদেশি পণ্যের ভবিষ্যত বাজারই নয়। পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদারও।

বাংলাদেশের শ্রম রফতানির অন্যতম বড় বাজার মালয়েশিয়া। আর সেখানে বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বিপুল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নরলিন বিনতি ওথম্যান বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। এমন কি বাংলাদেশে ভ্রমণ নিয়ে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত মালয়েশিয়ানদের উদ্দেশে কোনো ভ্রমণ সতকর্তা জারি করিনি। এমনকি আমরা আমাদের দূতাবাসও বন্ধ করিনি। বাংলাদেশে ৪র্থ শোকেস মালয়েশিয়ায় অংশ গ্রহণের জন্য কোনো সমস্যা ছাড়াই ব্যবসায়ী ও অন্যান্যরা আসছেন। আপনারা দেখছেন যে মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে আমাদের কর্মকর্তারা আসছেন। এটাই পরিস্থিতির প্রমাণ করে।

বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে মালয়েশিয়ার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সঙ্গেও এ চুক্তি করেত আগ্রহী মালয়েশিয়া। এ বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকটি কুয়ালালামপুরে বসতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখন বাংলাদেশের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছি।

বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা এখনও কিছু সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছে। সেগুলোকে চিহ্নত করে সমাধান করা প্রয়োজন। না হলে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ান বিনিয়োগকারীদের ধরে করে তোলা কঠিন হবে।

বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানি বিষয়ে নরলিন বলেন, শ্রমিক আমদানি নিয়ে বৈঠক করতে একটি প্রতিনিধি ঢাকা ঘুরে গেছে। এতে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। যার ফল খুব শিগগিরই দেখা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
জেপি/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।