ঢাকা: গ্রাহক ও রাজস্ব আয় বেড়েছে দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম নয় মাসেই প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি হয়েছে।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এক নজরে ২০১৫ সালে গ্রামীণফোনের প্রথম নয় মাস’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির আয়, সেবার ক্ষেত্র ও এগিয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম নয় মাসে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে, সংখ্যার হিসাবে যা ৪০ লাখ। এর ফলে প্রান্তিক শেষে মোট গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি ৫৫ লাখ। আর সিম মার্কেট শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ১ শতাংশ (আগস্ট পর্যন্ত)।
পাশাপাশি বছরের প্রথম নয় মাসে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। এরমধ্যে সেবাখাতে আয়ের রাজস্ব বেড়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, আর ডিভাইস ও অন্যান্য খাতে বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ।
আয়কর প্রদানের হিসাব তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রথম নয় মাসে গ্রামীণফোনের নিট মুনাফা হয়েছে ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ, যা মার্জিনসহ এক হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। পরিচালন ব্যয় ব্যবস্থাপনার কারণে এই প্রান্তিকে অপারেটিং প্রফিট (ইবিআইটিডিএ) বেড়েছে ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ, যা মার্জিনসহ চার হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি বলেন, চলতি বছরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনেক প্রতিযোগিতার কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু আমরা তা সফলতার সঙ্গে কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি।
তিনি জানান, ধীরে ধীরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের পাশাপাশি ডাটা ব্যবহারেও অনেক উন্নতি হচ্ছে। সহজ গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্যোগে বিশেষ মনোযোগ এই গতিশীলতা আনতে সহায়তা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) দিলীপ পাল বলেন, প্রতিকূল ব্যবসায়িক ফলাফলের মধ্যেও আমরা লাভজনক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে সঠিক পথে আছি। বাকি সময়ও আমরা পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ চালিয়ে যাবো।
এতে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে গ্রামীণফোন কর্মকর্তারা বলেন, গ্রামীণফোনের সব গ্রাহককে সমান গুরুত্ব দিয়ে সেবা দেওয়া হয়। এছাড়া, আয়কর প্রদানে প্রশাসনিক সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যে কিছুটা ঝামেলা হয়। তবে স্বচ্ছভাবে কাজ করতেই গ্রামীণফোন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট, শুল্ক এবং লাইসেন্স ফি হিসাবে সরকারি কোষাগারে তিন হাজার ৮৮০ টাকা দিয়েছে বলেও জানান দিলীপ পাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫/আপডেট ১৯০৪ ঘণ্টা
একে/এইচএ/