ঢাকা: দেশে কার্যরত বেসরকারিখাতের ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করায় বিদেশি ঋণের প্রতি ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করতে সুদ কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর হেয়ার রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মুহিত।
মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত মুনাফা করায় আমি নিজেই দুঃখিত। দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের বিদেশি ঋণের প্রতি ঝোঁক বাড়াতে সুদ কমানো হবে। বর্তমানে এই ঋণের সুদ ৫ শতাংশ। যদিও বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে বিদেশি ঋণের সুদ মাত্র ২ শতাংশ। আমরা এত নিচে নামাতে পারব না। তবে আগের চেয়ে ১ শতাংশ কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি এতে সায়ও দিয়েছেন।
মুহিত বলেন, এপিজি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের চারটি দপ্তরে কার্যক্রমে কিছু অভাব রয়েছে বলে তাকে অবহিত করেছেন। এগুলো হলো: সরকারি কেনাকাটা, স্বর্ণ চোরাচালান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক লুটপাট ও দুর্নীতি দমন কমিশনের অর্থ পাচার তদন্ত কার্যক্রমে ধীরগতি।
এপিজি প্রতিনিধি দল বলেছে বাংলাদেশের সরকারি কেনাকাটায় অনিয়ম ও সুশাসনের অভাব রয়েছে। তবে এ অভাব সৃষ্টির জন্য মন্ত্রী আইনগত সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে বলেন, শীঘ্রই আইন সংশোধন করা হবে। বিদেশ থেকে চোরাকারবারিরা বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ বাংলাদেশ-ভারত হয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে পাচার করছে।
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো লুটপাটের জন্য যেসব আইনি দুর্বলতা আছে সেগুলো দুইমাসের মধ্যে সংশোধন করা হবে। তার আগে এ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে এপিজির গ্রে লিস্টে আছে। এখানে থাকার জন্য আমাদের সবগুলো সূচকই পজিটিভ অবস্থানে রয়েছে। এতে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য ও আর্ন্তজাতিক লেনদেনে কোনো সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
এসই/আরআই