ঢাকা: কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান খেলাপিযোগ্য ঋণকে নিয়মিত ঋণ হিসেবে দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার (২১অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে ঋণ শ্রেণীকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া আগে এই অনিয়মের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে আদায়ের যে সুযোগ রাখা হয়েছিল তাও বাতিল করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শ্রেণী বিন্যাসিত ঋণের সঠিক তথ্যের প্রতিফলন নিশ্চিত করা এবং আদায় ঝুঁকি হ্রাসকল্পে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ অনাদায় থাকা অবস্থায় ঘূর্ণায়মান ঋণ হিসাব নবায়ন করা যাবে না।
এদিকে এই অনিয়ম প্রসঙ্গে ২০১৪ সালের ২ জুলাই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ। ওই প্রজ্ঞাপনে ঋণ হিসাব নবায়নের পূর্বে বকেয়া সুদ ও আসল চলমান মেয়াদের মধ্যে বা মেয়াদান্তে সম্পূর্ণরূপে আদায় বা সমন্বয় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে আগের ওই নির্দেশ বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাসিক কিস্তিতে সুদ ও মেয়াদান্তে আসল টাকা পরিশোধের শর্তে এক বছর মেয়াদী ঘূর্ণায়মান ঋণ প্রদান করছে। মেয়াদ শেষে এসব ঋণ নবায়ন করা যাবে এমন শর্ত দেওয়া থাকে ওই ঋণের ক্ষেত্রে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অন সাইট ও অফ-সাইট সুপারভিশনে দেখা গেছে, মেয়াদান্তে বকেয়া স্থিতি সমন্বয় না হওয়া সত্ত্বেও এ ঋণ হিসাবকে নিয়মিত দেখিয়ে তা নবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া কিছু কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তা খেলাপি না দেখিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য নবায়ন করছে। এসব ঋণ গুণগত মানে বিরূপ শ্রেণীযোগ্য হলেও সেগুলোকে নিয়মিত দেখানো হচ্ছে।
এতে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানগুলো যে তথ্য পাঠাচ্ছে তাতে প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। ঋণ মঞ্জুর ও নবায়ন প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্রমশ অধিকতর ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে খেলাপি তথ্য গোপন করে এ ধরনের অস্বচ্ছ প্রতিবেদন না দিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা,অক্টোবর ২১, ২০১৫
এসই/আরআই