ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উৎপাদনমুখী শিল্পে ঋণ : ৩০ কোটি ডলারের তহবিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
উৎপাদনমুখী শিল্পে ঋণ : ৩০ কোটি ডলারের তহবিল

ঢাকা: উৎপাদনমুখী শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণের যোগান দিতে ৩০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে মাত্র ৫-৬ শতাংশ সুদে বৈদেশিক মুদ্রায় দীর্ঘ মেয়াদি এ ঋণ বিতরণ করা হবে।



মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরে ৩০ জুন বিশ্বব্যাংকের বিশ্ব ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তির আওতায় ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট (এফএসএসপি) শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন সংস্কার ও কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এ তহবিল থেকে ঋণ দিতে আগ্রহী ব্যাংকগুলোকে প্রকল্প পরিচালক হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে।

এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের শর্তানুযায়ী একটি অপারেশনস ম্যানুয়াল প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ম্যানুয়ালে বলা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৯ কোটি ২৫ লাখ ডলারের একটি ঘূর্ণায়মান তহবিল গঠন করা হয়েছে। এতে বিশ্বব্যাংক থেকে যোগান দেওয়া হয়েছে ২৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে দেওয়া হচ্ছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার।

এ তহবিল থেকে উদ্যোক্তারা ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদে ৫ বছর, ৭ বছর ও ১০ বছর মেয়াদে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নিতে পারবেন। তবে স্বল্প মেয়াদে কোনো ঋণ দেওয়া হবে না। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড থাকবে এক বছর। এক বছর পর থেকে কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। মূল ঋণের সঙ্গে সুদের অংকও যোগ করে কিস্তি আদায় করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্যামেল রেটিংয়ে এক নম্বর তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এ তহবিল থেকে ৫ বছর মেয়াদে ৩ শতাংশ, ৭ বছর মেয়াদে সোয়া ৩ শতাংশ এবং ১০ বছর মেয়াদে সাড়ে ৩ শতাংশের সঙ্গে লাইবর রেট যোগ করে সুদের হার নির্ধারিত হবে। বর্তমানে লাইবর রেট হচ্ছে শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ। ফলে ওই সুদের হারের সঙ্গে শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ যোগ হবে।

রেটিং দুইয়ে থাকা ব্যাংকের ক্ষেত্রে তহবিল ঋণের জন্য ৫ বছর মেয়াদে সোয়া ৩ শতাংশ, ৭ বছর মেয়াদে সাড়ে ৩ শতাংশ এবং ১০ বছর মেয়াদে পৌনে ৪ শতাংশ সুদ নির্ধারিত হবে। এর সঙ্গে যোগ হবে লাইবর রেট।

একইভাবে যেসব ব্যাংকের রেটিং তিন, তারা তহবিল থেকে ঋণ পাবেন ৫ বছর মেয়াদে সাড়ে ৩ শতাংশ, ৭ বছর মেয়াদে পৌনে ৪ শতাংশ এবং ১০ বছর মেয়াদে ৪ শতাংশ সুদে। এর  সঙ্গে যোগ হবে লাইবর রেট।

ব্যাংক এ সুদের হারের সঙ্গে ১ থেকে ৩ শতাংশ যোগ করতে পারবে। এর মধ্যে ব্যাংকের প্রফিট রেট ১ শতাংশ, পরিচালনা ব্যয় ১ শতাংশ এবং অন্যান্য ঝুঁকি খাতে ১ শতাংশ। ব্যাংক ইচ্ছে করলে এ হার আরও কমাতে পারবে।

তবে এ ঋণের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে। ঋণের টাকায় কোনো জমি কেনা যাবে না। ব্যবহার করা যাবে না চলতি মূলধন হিসেবে। অর্থাৎ ঋণের টাকায় শিল্পের কাঁচামাল আমদানি, শ্রমিকদের ভাতা প্রদানসহ চলতি ব্যয় মেটানো যাবে না। তবে ঋণের অর্থে শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি ও অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে। সচল শিল্প বিএমআরই করণ বা শিল্পের নতুন ইউনিট স্থাপনে ব্যবহার করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
এসই/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।