ঢাকা: একটু দেরিতে হলেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছে শীতের সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে দাম কমছে পাল্লা প্রতি (৫ কেজি) ১০ থেকে ১৫ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) গভীর রাতে সরেজমিনে মিরপুর-১ অস্থায়ী পাইকারি কাঁচা বাজার ঘুরে দাম কমার বিষয়টি চোখে পড়ে।
মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বর থেকে মাজার রোড পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশ জুড়ে শীতের সবজি বিক্রি করছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা।
শিম বিক্রেতা কবির এসেছেন পাবনা থেকে। তিনি জানান, এক পাল্লা (৫ কেজি) শিম বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ২৩০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পাবনা থেকে আসা বেগুন বিক্রেতা পারভেজ জানান, আকারভেদে গত সপ্তাহ থেকে পাল্লাপ্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কমে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়।
আকারভেদে এক কুড়ি (২০টি) লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে আকারভেদে ১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর থেকে আসা পাইকারি বিক্রেতা জাহিদ।
মেহেরপুরের পাতাকপি পিচ প্রতি দুই টাকা দাম কমে আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকায়।
ফুলকপি বিক্রেতা জুয়েল এসেছেন চুয়াডাঙ্গা থেকে। তিনি জানান, আকারভেদে প্রতি পিচ ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ১৮ টাকা থেকে ২২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শীতের সবজি ১৫ দিন পর বর্তমানেরও অর্ধেক দামে বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন এ বাজারে আসা পাইকারি সবজি বিক্রেতারা।
এছাড়া ভারতীয় কাঁচা মরিচ ও টমেটোর পাল্লা (৫ কেজি) প্রতি দাম কমেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বর্তমানে কাঁচা মরিচের পাল্লা ৩০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ৩৪০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দাম অপরিবর্তিত রয়েছে মিষ্টি কুমড়ো ও কাঁচা কলার। মিষ্টি কুমড়ো পাইকারিতে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ২০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা থেকে ১৪ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
এফবি/এএসআর