ঢাকা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনেও প্রধান পাথেয় সম্পদ। বিদেশি সম্পদ না পাওয়া গেলেও অভ্যন্তরীণ সম্পদ দিয়ে এসডিজি অর্জন করতে হবে।
‘টেকসহ উন্নয়ন-২০৩০ অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশের কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত’ শীর্ষক সেমিনারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসডিজি বাস্তবায়নে এসব চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে।
শনিবার মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
বিভিন্ন ধরনের পর্যালোচনা তুলে ধরে দেবপ্রিয় বলেন, সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) সফলভাবে অর্জন করেছে সরকার, তবে এখাতে বিদেশি সহায়তা তেমন পাওয়া যায়নি। দেশিয় সম্পদ দিয়ে এসজিডি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে সক্ষমতা বাড়াতো হবে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধিতে নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে।
সিডিপি মনে করে, এসডিজি অর্জনে জাতীয় পরিকল্পনা এবং নীতিমালার মাধ্যমে এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হবে। এসডিজির বাস্তবায়নে নেতৃত্ব লাগবে। অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের উপায়গুলোর ধারাবাহিক পদ্ধতিতে যেতে হবে। সব ধরনের ডাটা প্রাপ্তিতে জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থাগুলোর সক্ষমতা থাকতে হবে। সব বিষয়গুলো প্রাতিষ্ঠানিক রুপে নিয়ে আসতে হবে।
সিপিডি আরও মনে করে, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দেশিয় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশের টাকা যাতে করে বাইরে চলে না যায় সেই জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ সক্ষমতা বাড়াতে হবে উল্লেখ করে বলা হয়, বর্তমানে এর পরিমাণ মাত্র মোট জিডিপি ১২ দশমিক ১ শতাংশ যা নেপালের থেকেও কম। বৈদেশিক সহায়তা বাড়াতে হবে। বর্তমানে বেসরকারি বিনিয়োগ মাত্র ২২ দশমিক ১ শতাংশ। এটাকে ২৮ থেকে ২৯ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
সিপিডি মনে করে, এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সামনে এখন পাঁচটি চ্যালেঞ্জ। এগুলো হলো, বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচিকে জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করা, সবার অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা, সম্পদের প্রাপ্যতা, বস্তুনিষ্ঠ পরিসংখ্যান ও তদারকি এবং কাঠামোগত কৌশল ও বাস্তবায়ন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী ও ড. এ বি এম মির্জা আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
এমআইএস/এসএইচ