জামালপুর: রাজস্ব কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় যুবলীগের ৩ নেতার বিরুদ্ধে মামলার জের ধরে জামালপুরের কামালপুর স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে, কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভারতীয় অংশের নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকা পড়ে আছে পাথরভর্তি দুই শতাধিক ট্রাক।
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, কামালপুর বন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুজ্জামান এলসিপ্রতি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু ঘুষ না দেওয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বন্দরে প্রবেশে বাধা দেন তিনি। এ নিয়ে স্থানীয় যুবলীগের নেতা ও বন্দরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নুরুজ্জামানের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শ্রমিকরা রাজস্ব কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেন।
এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টায় নুরুজ্জামান বাদী হয়ে কামালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মশিউর রহমান লাখপতি, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুন্নবী হাল্লাল ও সদস্য ইব্রাহীম রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে মামলায় ভয়ে ব্যবসায়ীরা গা ঢাকা দেওয়ায় বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান মামলার বাংলানিউজকে জানান, সরকারি কাজে বাধাঁ ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ ব্যাপারে আমদানি-রফতানিকারক ব্যবসায়ী সমিতির নেতা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেছ রিপন ও কামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ব্যবসায়ী নেতা হাসান জোবায়ের হিটলার জানান, মামলা করার মতো ঘটনা ঘটেনি। ব্যবসায়ীদের হয়রানি করতেই এ মামলা হয়েছে।
এদিকে, বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকা রাজস্ব।
এ প্রসঙ্গে জামালপুরের সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বন্দরে পুরানো এলসিগুলো সম্পর্কে ব্যাংকে তদন্ত করে দেখা হবে। যদি ফাইল ঠিক থাকে তবে পণ্যবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে বাধা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
এসআর