ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘ঝুঁকি বিবেচনায় না নিয়ে জিএমও ফসল ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৫
‘ঝুঁকি বিবেচনায় না নিয়ে জিএমও ফসল ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে’ ছবি: দীপু মালাকার- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বীজ তৈরির আধিপত্য বাড়াতে বিটি বেগুন ও গোল্ডেন রাইস ছড়িয়ে দিতে চাইছে। স্বাস্থ্যগত ও পরিবেশগত দিক বিবেচনায় না নিয়ে এটি ছড়িয়ে দিয়ে দেশের কৃষি ও কৃষকদের ক্ষতির মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।



সোমবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘জিএমও (জেনেটিক্যালি মডিফাইড) ফসলের প্রবর্তন: বিটি বেগুন ও গোল্ডেন রাইস’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব অভিযোগ করেন বক্তারা।

জিএমওবিরোধী মোর্চা ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যৌথভাবে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করে।

সভায় বাপার সহ সভাপতি প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের আধিপত্য সম্প্রসারণ করতে ফসলের জিন পরিবর্তন ঘটিয়ে এটি কৃষকের হাতে তুলে দিচ্ছে। পোকার আক্রমণ হয় না এবং ফলন ভালো হবে বলে যেসব কৃষক বিটি বেগুন চাষ করেছেন, তাদের প্রায় সকলেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

মতবিনিময়ে জিএমওবিরোধী মোর্চার সদস্য শাকিউল মিল্লাত মোর্শেদ বলেন, বেগুনের ওপর জিএমও চাপ যেতে না যেতেই আসছে ধানের ওপর জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাপ। গোল্ডেন রাইস নামক ধান যাকে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ বলে দাবি করা হচ্ছে তা মূলত ধানের ওপর দখলদারি ছাড়া আর কিছু নয়।

তিনি আরও বলেন, জিএমও ফসলের মতোই গোল্ডেন রাইসও অজানা ক্ষতির শঙ্কামুক্ত নয়, এর মধ্যে বৈজ্ঞানিক সকল শর্ত মানা হয়েছে কি-না এবং আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর মধ্যে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যে যে ব্যবস্থা ছিলো তাও মেনে চলা হয়েছে কি-না তা জানা নেই।

কৃষিবিজ্ঞানী ড. এম এ সোবহান বলেন, বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে যেসব ফসল উৎপাদনের চেষ্টা করা হচ্ছে, মানবস্বাস্থ্যের ওপর কোনো প্রভাব বিবেচনা না করেই তা ছড়িয়ে দেওয়া মোটেও উচিত নয়।

মতবিনিময়ে বক্তারা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদনে গোল্ডেন রাইস গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল তুলে ধরে পরিবেশবাদী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আশ্বস্ত করা হয়নি।

মতবিনিময়কালে জিএমওবিরোধী মোর্চার সদস্য ফরিদা আখতার বলেন, সম্প্রতি পত্রিকায় গোল্ডেন রাইস চাষ নিয়ে খবর প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এটি যেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাই আবিষ্কার করেছেন। একই সঙ্গে এ ধান মাতৃমৃত্যু কমাবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু ভারতীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এসেছে এটি মাতৃমৃত্যুর কারণ হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন ফরিদা আখতার।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফয়জুল হাকিম, জিএমওবিরোধী মোর্চার সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জনি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৫
এসএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।