ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বেড়েছে রসুন-ডিম ও ভোজ্য তেলের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৫
দাম বেড়েছে রসুন-ডিম ও ভোজ্য তেলের ফাইল ফটো

ঢাকা: গত এক সপ্তাহের ব্যবধানের রাজধানীর বাজারে মৌসুমী শাক-সবজির দাম কমলেও বেড়েছে রসুন, ডিম ও ভোজ্য তেলের।

শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) রাজধানীর মুগদা, মালিবাগ ও রামপুরা বাজার ঘরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।



সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতিকেজি দেশি রসুনের দাম ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা।
কিছুটা বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। প্রতিকেজিতে ৫ টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

অপরিবর্তিত দামে হলুদ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৭০ টাকায়, শুঁকনো মরিচ ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায়, মশুর ডাল দেশি ১২৫ টাকা, বুটের ডাল ৭৫ টাকা, আদা ১০০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।
 
রসুনের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মুগদা কাঁচা বাজারের বিক্রেতা মো. আবদুল বারী বাংলানিউজকে বলেন, রসুনের চালান কম আসছে, তাই দাম একটু বাড়িয়ে দিয়েছে পাইকাররা। অন্য সব পণ্যের চালান স্বাভাবিক রয়েছে তাই দাম বাড়েনি।     

এদিকে তিন দিনের ব্যবধানে ফার্মের মুরগীর ডিম আকার ভেদে প্রতি হালি ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে ৩২ থেকে ৩৪ টাকায়, আর ডজন ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে দেশি মুরগী ও হাসের ডিমের দাম (বাজার ভেদে) প্রতি হালি এক থেকে দুই টাকা বাড়তি দামে ৪০টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

মালিবাগ ও রামপুরা বাজারে দেশি মুরগীর ডিম (আকার ভেদে) প্রতি হালি ৫০ টাকা।

আর মুগদা বাজারে দেশি মুরগীর ডিম (আকার ভেদে) প্রতিহালি ৪৯ থেকে ৫০ টাকা। হাসের ডিম বিক্রি হচ্ছে হালি প্রতি (আকার ভেদে) ৩৮ থেকে ৪০ টাকা করে।  
তবে হঠাৎ দাম বাড়ার বিষয়ে কোনো যৌক্তিক কারণ বলতে পারছেন না ডিম বিক্রেতারা।

রামপুরা বাজারের শাহ মুরাদ নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি শুক্রবারই বিক্রেতারা দাম একটু বাড়িয়ে দেন সব সময়। তবে সপ্তাহের অন্যদিন দাম কিছুটা কম থাকে।

এদিকে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে ভোজ্য তেলেও।   প্রতি লিটারে ১০ টাকা বেড়েছে।

পাম অয়েল প্রতি লিটার ৭০ থেকে ৭২ টাকা এবং সুপার পাম অয়েল ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় এবং খোলা সয়াবিন তেল ৯৩ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরিষার তেল প্রতি লিটার ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।   

এ বিষয়ে রামপুরা কাঁচা বাজারের বিক্রেতা শাহীন আলম বলেন, প্রতি শীতের আগে পাইকারী ব্যবসায়ীরা তেলের আমদানি কমিয়ে দেন। এ কারণে দাম কিছুটা বেড়ে যায়।

‘আমদানি কেন কমিয়ে দেন’ এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,‘শীতে পাম অয়েল জমে যায়। এজন্য আগের তেল বিক্রি শেষ হলে, নতুন তেল আনেন তারা। ’
তবে সরিষার তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে মালিবাগ বাজারের ব্যবসায়ী শিপন মিয়া বলেন, ভেজাল অনুযায়ী সরিষার তেলের দাম বাড়ে ও কমে। শীতে বেশি ভেজাল দিলে তেল জমে যায়। তাই কিছুটা দাম বাড়তি বিক্রি করছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৫
এফবি/এমএ

** দাম কমেছে সবজির

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।