ঢাকা: ঘুষ না দেওয়ায় ঢাকার নুর পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিশারিজ এর দুই কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরির পর অর্থ ছাড় না করার প্রমাণ পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক গঠিত তদন্ত কমিটি।
২০১৪ সালের ২৮ জুন এক বছর মেয়াদে দুই কোটি টাকা সিসি হাইপো ঋণ মঞ্জুর করে অর্থছাড় না করে অগ্রণী ব্যাংকের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল শাখা নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি করে বলে নিশ্চিত হয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
অর্থ ছাড় করাতে শাখা প্রধান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক জমির হোসেন গাজী, ঋণ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা ও আজগর আলী মোল্লার মাধ্যমে ঋণের ২০ শতাংশ (৪০ লাখ টাকা) ঘুষ দাবি করেন।
নুর পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিশারিজ’র মালিক সাইদুল ইসলাম মালেক এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জমির হোসেন টাকা না দিয়ে নানা রকম টালবাহানা করতে থাকেন। দীর্ঘদিন আটকে রাখেন মঞ্জুরিপত্র।
মঞ্জুরি হওয়া ঋণের অর্থ পেতে এবং শাখা প্রধানসহ তিনজনের ঋণের ২০ শতাংশ টাকা দাবির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ও ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন মালেক।
অভিযোগ তদন্ত করতে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয় পর্ষদ। তদন্ত কমিটির কাছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক জমির হোসেন গাজী নুর পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিশারিজ’র ঋণ সংশ্লিষ্ট সৃষ্ট জটিলতার কারণে ক্ষমা চেয়েছেন। বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
তবে ঋণ মঞ্জুরি ও পরবর্তীতে ঋণসীমা বাতিল করার বিষয়ে অনিয়মের কারণে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও শাখা প্রধান জমির হোসেন গাজীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন আগামী পর্ষদ সভায় উপস্থাপনের জন্য পাঠিয়েছে তদন্ত কমিটি।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বাংলানিউজকে বলেন, গ্রাহকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলেই পর্ষদ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫।
এসই/জেডএম
** ঘুষ না দেওয়ায় ঋণ আটকে গেলো অগ্রণী ব্যাংকে