ঢাকা: অভ্যন্তরীণ সুশাসনের অভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে বড় ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যকরী কিছু পদক্ষেপের নির্দেশও দিয়েছে।
রোববার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটি আয়োজিত বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।
এদিন সকাল ৯টায় দু’দিনের এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এ সময় ‘বিআইবিএম-ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল অব ফিন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট জয়েন্ট সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম অন সার্টিফাইড এক্সপার্ট ইন রিক্স ম্যানেজমেন্ট’ প্রোগ্রামেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেন, কয়েকটি ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতার কারণে কিছু অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নজরদারিতে কৌশলগত পরিবর্তন এনেছে। আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পর্ষদের জবাবদিহিতা ও দায়-দায়িত্বের ক্ষেত্রে তত্ত্ববধানের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
সম্মেলনে বিআইবিএম’র মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী ২০১৪ সালে ব্যাংকিং খাতের উপর একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে তিনি বলেন, ঝুঁকিভিত্তিক অডিট, ব্যাংক পরিচালনার ম্যানুয়াল, বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত, আইসিসিডি প্রধান কর্মকর্তার দক্ষতা ইত্যাদির বিষয়ে গত এক বছরের ব্যবধানে চোখে পড়ার মতো কোনো উন্নয়ন হয়নি। অর্থ্যাৎ অভ্যন্তরীন নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা রয়েছে গেছে। ব্যাংকের একজন ডিএমডিকে আইসিসিডি’র প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি প্রধান নির্বাহী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
এমন নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তি অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি চিহ্নিত ও নিরসনে কার্যকরী কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না বলে মন্তব্য করা হয় প্রবন্ধে। ব্যাংকের আইন, ঋণ, বাণিজ্য, ট্রেজারি, ইসলামিক ব্যাংকিং, আর্থিক অন্তর্ভূক্তি ও মানবসম্পদ বিষয়েও আলোচনা করেন ড. তৌফিক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিক অ্যাডভাইজর ড. ফয়সাল আহমেদ, বিআইবিএম’র একে গঙ্গোপাধ্যায় চেয়ার প্রফেসর এস এ চৌধুরী, সম্মেলনের চেয়ারম্যান ও বিআইবিএম’র পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. আহসান হাবীব, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
দু’দিন ব্যাপী এ সম্মেলনে চারটি সেশন রয়েছে। প্রত্যেক সেশনে একজন চেয়ারম্যান ও চারজন প্যানেলিস্ট আছেন। এই সম্মেলনে ২৬টি কি-নোট পেপার উপস্থাপন করা হবে। তার মধ্যে ১২টি পেপার সম্মেলনের প্রথম দিন উপস্থাপন করা হয়। নেপাল, মালেশিয়া ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই সম্মেলনে তাদের গবেষণামূলক আর্টিকেল উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর: ২২, ২০১৫
এসই/আরএইচ