ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে ৪শ’ কোটি টাকার বিনিয়োগ করতে হবে। তা না হলে জলাবদ্ধতা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সমস্যায় আগামী ৩৫ বছরে ১৪ হাজার কোটি টাকা সমপরিমাণ ক্ষতি হবে।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বহুমুখী সংস্থা বিশ্ব ব্যাংক ‘বৃহত্তর ঢাকার জলবায়ু পরিবর্তন ও বন্যার ঝুঁকি’ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে জলাবদ্ধতা নিরসনে বাজেটে বরাদ্দ অপ্রতুল। এই অবস্থায় বৃষ্টিপাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় স্মার্ট পলিসি নেওয়া দরকার।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির পরিবেশ বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ সুষ্মিতা দাশগুপ্ত।
এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, পরিবেশবিদ ড. আইনুন নিশাত, ওয়াটার রিসোর্স কনসালট্যান্ট ড. আসিফ জামান, ঢাকা ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী ঢাকায় অব্যাহত বন্যা ও জলাবদ্ধতা নগরবাসীর জীবন ও জীবিকাকে ব্যাহত করছে। সবচেয়ে বিরূপ প্রভাব পড়ছে রাজধানীকে ঘিরে নদী বা খাল পাড় এলাকা ও বস্তিবাসির উপর। আগামী দশকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আরও ঘন ও তীব্র বৃষ্টিপাতে বন্যা ও জলাবদ্ধতার হার বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, যদি জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বাদ দিয়ে হিসাব করা হয় তবে ২০৫০ সাল নাগাদ অতি বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে ১১ হাজার কোটি টাকা সমপরিমাণ ক্ষতি হবে। আর জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির আশঙ্কাসহ হিসাব করা হয়, তবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩ হাজার ৯শ’ কোটি টাকা।
পূর্ব ঢাকা, গোড়ান যাত্রাবাড়ী, কল্যাণপুর, সেন্টাল ঢাকা, পুরান ঢাকা, ডিএনডি এবং নারায়নগঞ্জ এলাকায় সরেজমিন গবেষণা চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সুষ্মিতা দাশগুপ্ত বলেন, ঢাকার মতো একটি মেগাসিটিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে যে পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে তা প্রয়োজনের মাত্র দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ অবস্থায় বিনিয়োগের বিষয়ে সুনিদির্ষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া দরকার।
আনিসুল হক বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন রাতারাতি সম্ভব নয়। নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা প্রকট। এর কারণে একজন আরেকজনের উপর দায় চাপিয়ে মুক্ত হয়ে গেলেও নাগরিক ভোগান্তি কমছে না।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
এমআইএস/এটি