ঢাকা: গ্রামীণ অর্থায়ন ও কৃষিখাতের উন্নয়ন বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য ও সামঞ্জস্যপূর্ণ গ্রিন অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা কৌশল বাস্তবায়নে মূল নিয়ামক ও স্টেকহোল্ডারদের ভূমিকা ও দায়িত্ব বৃদ্ধিতে রোববার (২৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে তিনদিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
রাজধানীর লা-মেরিডিয়ান হোটেলে ‘রিজিওনাল ডেসিমিনেশন ফোরাম অন গ্রিন ফাইন্যান্সিং ফর সাস্টেনেবল ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড এক্সেসিবিলিটি অব রুৠাল কমিউনিটি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান বলেন, পরিবেশের টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা ও অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ, অর্ন্তভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থায়ন অগ্রযাত্রায় দারিদ্র্য বিমোচন, সুযোগের অসমতা হ্রাস, খাদ্য-জ্বালানি নিরাপত্তায় বাংলাদেশ ব্যাংক অগ্রাধিকার দিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে আপ্রাকার চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমে টেকসই নীতিমালা, বিধিবিধান প্রণয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, আপ্রাকার সেক্রেটারি জেনারেল চামনং সিরিয়ংগথা।
প্রশিক্ষণে ৬৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে রয়েছেন আপ্রাকার সদস্য দেশ- ভুটান, ভারত, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, আশা, পিকেএসএফ, এমআরএ ও ব্র্যাকের কর্মকর্তারা।
প্রশিক্ষণে কৃষি উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ-বাজারজাতকরণ ব্যবস্থায় গ্রিন অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে গ্রামীণ অর্থায়ন সংক্রান্ত ধারণা ও অভিজ্ঞতা বর্ণনা; কৃষি ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গ্রিন অর্থায়ন ব্যবস্থা ও কৌশল বিনিময়; বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে গৃহীত গ্রিন অর্থায়ন কৌশল ও নীতিমালা উপস্থাপন; কৃষক, মৎস্যচাষি, মহিলা উদ্যোক্তা, বাজারজাত ব্যবস্থা ও অন্যান্য কার্যক্রমে গ্রিন অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়।
এছাড়াও ভুটান, কম্বোডিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি ও ইফদ-আপ্রাকা প্রজেক্টের ব্যবস্থাপকরা গ্রামীণ অর্থায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এসই/জেডএস