ঢাকা: সামগ্রিক ব্যাংকিংখাতে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সামগ্রিক ব্যাংকিংখাতের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ৪৩ দশমিক ৮৭ কোটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামগ্রিক ব্যাংকিংখাতের সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ বা ৪ হাজার ৪শ‘ ৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৭২ হাজার ৭শ’ ২০ কোটি ৪লাখ টাকা। জুন প্রান্তিকে ছিল ৬৮ হাজার ২শ’ ৩০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। মূলধন রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ৭০ হাজার ৪শ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণের বাধ্যবাধতা রয়েছে। সেপেম্বর শেষে মূলধন পর্যাপ্ততার হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। জুন শেষে ব্যাংকিংখাতে মূলধন পর্যাপ্ততার হার ছিল ১০ দশমিক ২৭শতাংশ। মূলধন পর্যাপ্ততা প্রয়োজনের তুলনায় শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি রয়েছে।
উদ্যোক্তা মূলধনের সঙ্গে মোট এক্সপোজারের অনুপাত (লিভারেজ রেশিও) বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে লিভারেজ রেশিও’র পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। জুন প্রান্তিকে এর পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর বাধ্যবাধকতা রয়েছে মাত্র ৩শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাসেল-২ নীতিমালার আলোকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণের নির্দেশ রয়েছে। তবে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ন্যূনতম মাত্রার (১০শতাংশ) চেয়ে অতিরিক্ত আরও ৬২শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও সহকারী মুখপাত্র এএফএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মূলধন ঘাটতি পূরণে বার বার তাগিদ দেওয়া হচ্ছিল ব্যাংকগুলোকে। মূলধন সংরক্ষণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ব্যাংকগুলো ঘাটতির প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে সহজেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
এসই/এমজেএফ