ঢাকা: বাংলাদেশের কাছে মংলা এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ভুটান। পাশাপাশি তাদের বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহারও বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটি।
দু’দিন ব্যাপী চতুর্থ সভা শেষে বুধবার (০২ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে টিসিবি ভবনের বিএফটিআই সম্মেলন কক্ষে দু’দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের কাছে এ অনুরোধ জানান সফররত ভুটানের বাণিজ্য সচিব দাসো ইয়োশি ওয়াংদি।
সাংবাদিক সম্মেলন বিকেল তিনটায় শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে তিনটায়। যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে উভয় দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশের পক্ষে এবং ভুটানের বাণিজ্য সচিব দাসো ইয়াশি ওয়াংদি ভুটানের পক্ষে সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন জানান, বাংলাদেশ ভুটানের কাছে বিদ্যুৎ চেয়েছে। ভুটান তার বাড়তি বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করবে বলে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ভুটানের কাছে কি পরিমাণ জলবিদ্যুৎ চেয়েছে বাংলানিউজের এ প্রশ্নের উত্তরে হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, আলোচনা চলছে। পরিমাণটা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। তবে যতোটা তারা দিতে পারে।
তিনি বলেন, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভুটান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। দু’দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০১২ সালে শুরু হয়। চতুর্থ সভাটি মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) ঢাকায় শুরু হয়।
দু’দিনব্যাপী এ সভায় বাংলাদেশ ভুটানে ৯০ প্রকারের পণ্য রপ্তানি এবং ভুটান বাংলাদেশে যে ৮০ প্রকারের পণ্য রপ্তানি করবে তা শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। বিশেষ করে কিছু কিছু পণ্যে পাঁচ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে কথা হয়েছে।
হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা দু’দেশের মধ্যে ভিসা আরও সহজীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছি। যৌথভাবে পর্যটন প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর জন্য ভুটান চেম্বার অফ কমার্স এবং ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স বৈঠক করবেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায়, যুগ্ম সচিব মু. মুনীর চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস) মু. ফিরোজ শাহ আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
এসএস/আরআই