ঢাকা: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০-এর সঠিক বাস্তবায়নের জন্য পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ এর ৪ ও ১৩ ধারা মোতাবেক যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কাচাঁপাট রপ্তানি বন্ধ রাখা হলো।
পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়াতে এর আগে পাটের বস্তার দাম ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২৩ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক করার পর ৩০ নভেম্বর থেকে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে সরকার। ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
‘কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, ব্যাংকঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিলের বিধান রেখে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ বাস্তবায়নে এ সাঁড়াশি অভিযান চালু হয়েছে।
ছয়টি পণ্যে শতভাগ পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে পাট মন্ত্রণালয়।
পাট মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, ছয়টি পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে ব্যাংকঋণ সুবিধা দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চাতাল মিল মালিকরা পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে খাদ্য মন্ত্রণালয় তাদের লাইসেন্স বাতিল করবে।
পাশাপাশি আমদানি ও রপ্তানিকালে পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আইআরসি (আমদানি নিবন্ধন সনদ) বা ইআরসি (রপ্তানি নিবন্ধন সনদ) বাতিল করবে।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এর ধারা ১৪ অনুযায়ী পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ অপরাধ পুনঃসংগঠিত হলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫/আপডেট: ১৫৫২
এমআইএইচ/এএ