ঢাকা: সাধারণ সিমেন্টের চেয়ে বসুন্ধরা সিমেন্ট অনেক বেশি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী। সর্বাধুনিক জার্মানির ভার্টিক্যাল রোলিং মিলের (ভিআরএম) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে এ সিমেন্ট।
এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলো থেকে সিমেন্টের কাঁচামাল সংগ্রহ করে তৈরি হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট। তাই ক্রেতারা নিশ্চিন্তে এ সিমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পাওয়ার, সোলার, রিয়েল এস্টেট ও কন-এক্সপো প্রদর্শনীতে বসুন্ধরা সিমেন্টের স্টলে খোঁজ নিয়ে পাওয়া গেলো এসব তথ্য।
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড সংলগ্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) প্রদর্শনী চলছে।
স্টলের কর্মীরা বাংলানিউজকে জানান, ভিআরএম প্রযুক্তির মাধ্যমে সিমেন্টের কণা মিহি করা হয়। যে সিমেন্টের কণা যতো মিহি সেই সিমেন্ট ততো ভালো মানের হয়।
তারা জানান, যেখানে সাধারণ সিমেন্টের পিএসআই ৩৬২৯, সেখানে বসুন্ধরা সিমেন্টের পিএসআই ৫ হাজার ৭০০। এছাড়া বুয়েট টেস্টে পরীক্ষিত এই সিমেন্ট।
স্টলে সিমেন্টের বিভিন্ন গুণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। বাড়ি নির্মাণের সমাধান নামে একটি বইও আছে, যেখানে বাড়ি নির্মাণ করতে যেসব প্রয়োজনীয় তথ্য দরকার তার সব কিছুই দেওয়া রয়েছে।
মোবাইল কংক্রিট ল্যাব সম্পর্কেও জানা যাবে বিস্তারিত তথ্য। বিনামূল্যে মোবাইল কংক্রিট ল্যাবের মাধ্যমে ভোক্তারা বাড়ি নির্মাণের সার্বিক তথ্য পাবেন। এই ল্যাবের মাধ্যমে হামার, সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন টেস্টও করতে পারেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সরোজ কুমার বড়ুয়া বলেন, বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বসুন্ধরা সিমেন্ট পণ্যের গুণগতমান এবং সর্বাধুনিক ভিআরএম প্রযুক্তির বার্তা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই প্রদর্শনীতে এ অংশ নিয়েছি আমরা।
তিনি জানান, বসুন্ধরা সিমেন্ট কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে উৎপাদনের বিভিন্ন ধাপে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি অনুসরণ করে, যা পণ্যের সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করে। বর্তমানে দেশের আইকনিক প্রজেক্ট- পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মাসেতু নদী শাসন প্রকল্প, পদ্মাসেতু সংযোগ সড়ক, মেগা পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের মতো বড় স্থাপনাগুলোতে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে।
বসুন্ধরা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডের ব্র্যান্ড ম্যানেজার আশিকুর রহমান আশিক বলেন, বসুন্ধরা সিমেন্ট ইতোমধ্যে গ্রাহকের মন জয় করেছে। এই সিমেন্ট উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি যা অনেক বেশি শক্তিশালী।
তিনি আরও জানান, সাধারণ সিমেন্ট যেখানে ২৮ দিনে তিন হাজার ৬২০ পিএসআই শক্তি সঞ্চয় করে; সেখানে বসুন্ধরা সিমেন্ট মাত্র সাত দিনে চার হাজার ৩২০ পিএসআই শক্তি সঞ্চয়ে সক্ষম। বছরে পাঁচ দশমিক শুন্য পাঁচ মিলিয়ন মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদন হচ্ছে এবং এর পরিমাণ দিন দিন বাড়ছেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫
একে/আরইউ/আইএ
** বসুন্ধরায় রূপায়ন হাউজিংয়ে সর্বোচ্চ ছাড়
** পূর্বাচলে হবে ১৩০ তলার আইকন টাওয়ার