ময়মনসিংহ: বসুন্ধরা সিমেন্টের লাল রঙের টি-শার্ট পরে চেয়ারে বসে ছিলেন রাজমিস্ত্রি আব্দুর রহিম (৫০)। প্রায় তিন যুগ ধরে রাজমিস্ত্রির কাজে আছেন তিনি।
কিন্তু কেন, উত্তর এলো তার কণ্ঠে, তাড়াতাড়ি বসুন্ধরা সিমেন্ট জমে। মানেও সবার চেয়ে ভালো। আমার মতো সবাই বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করেন। সব মিস্ত্রির কাছে এ সিমেন্টের কদর অনেক।
আব্দুর রহিমের সঙ্গে কথা বলার সময়েই হাঁক দিলেন হারুন অর রশিদ নামে আরেক মিস্ত্রি। নিজে থেকেই বাংলানিউজকে বলতে থাকলেন, এ সিমেন্টের আস্তরের ফিনিশিংটা ভালো আসে। ঢালাই করতে ভালো হয়।
টানা ১৪ মাস ধরে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করছেন বলে জানালেন। বর্তমানে তার হাতে তিনটি ভবনের নির্মাণ কাজ, যা চলছে এ সিমেন্টেই।
শুধু আব্দুর রহিম কিংবা হারুনই নন, ময়মনসিংহের এমন শতাধিক রাজমিস্ত্রির মিলনমেলাতে, তাদের কণ্ঠেই উচ্চারিত হলো দেশের স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘বসুন্ধরা সিমেন্টের’ জয়গান। নির্মাণ শিল্পের এসব কারিগরদের নিয়ে বসুন্ধরা সিমেন্টের কর্মশালার আয়োজন, একই সঙ্গে টি-শার্ট ও ছাতা পেয়ে বেশ খুশি তারা।
নির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত পণ্যের গুণগত মান, পরিমাপ ও সঠিক প্রয়োগের ওপর শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয় রাজমিস্ত্রি সম্মেলন ও কর্মশালা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সরোজ কুমার বড়ুয়া, এজিএম উইং হেড মাহামুদুল হাসান, ডিএসএম (ঢাকা-৩) লুৎফুল হক খসরু, বসুন্ধরা সিমেন্টের ময়মনসিংহ ডিভিশনের এক্সক্লুসিভ ডিলার মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল, ফিরোজ আহমেদ শেখ, মো. আতিকুর রহমান প্রমুখ।
‘দেশের সম্পদ দেশেই রাখুন’ এ স্লোগান কণ্ঠে এনে কর্মশালায় ময়মনসিংহ রাজমিস্ত্রি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোমতাজ আলী বলেন, ময়মনসিংহের মিস্ত্রিরা বেশিরভাগই বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করেন। আমার বাড়ি ও ভবন মালিকদের বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করতে উৎসাহ দেবো- এ অঙ্গীকার করছি।
সিমেন্ট শিল্পে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উৎপাদন সক্ষম আধুনিক কারখানা রয়েছে একমাত্র বসুন্ধরা সিমেন্টের এমন কথা উল্লেখ করে সরোজ কুমার বড়ুয়া বলেন, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বেশি সিমেন্ট উৎপাদন করছে এ প্রতিষ্ঠানটি। বছরে আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা পাঁচ মিলিয়ন টনের ওপরে।
বসুন্ধরা সিমেন্টের গুণগত মানও বেশ ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, এ সিমেন্টের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে জার্মান প্রযুক্তি ভিআরএম। যা সিমেন্টের সুক্ষ্মতা বাড়িয়ে দেয় এবং স্থাপনার দীর্ঘস্থায়ী শক্তির নিশ্চয়তা দেয়। বসুন্ধরা সিমেন্ট; কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি অনুসরণ করে।
দেশের সবচেয়ে আইকনিক প্রকল্প পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মা নদী শাসন প্রকল্প, পদ্মাসেতু অ্যাপ্রোচ রোড, মেগা পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের মতো বড় বড় স্থাপনাগুলোতেও ব্যবহৃত হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট, যোগ করেন তিনি।
কর্মশালায় বসুন্ধরা সিমেন্টের ময়মনসিংহ ডিভিশনের এক্সক্লুসিভ ডিলার মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, বসুন্ধরা সিমেন্টের গুণগত মান সবার চেয়ে ভালো। বসুন্ধরা সিমেন্ট সবার চেয়ে সেরা। আমাদের স্থাপনা মজবুত করতে দরকার এ সিমেন্ট।
মাহামুদুল হাসান বলেন, মিস্ত্রিদের প্রতিটি দিন রোজগারের দিন। আপনারা অনেক ব্যস্ত। বসুন্ধরা সিমেন্টকে মন থেকে ভালোবাসেন বলেই এখানে এসেছেন। আমরা আপনাদের সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়তে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৫
আইএ