সাতক্ষীরা: লবণাক্ততা প্রতিরোধ করে স্থাপনা নির্মাণে শক্তির প্রতীক বসুন্ধরা সিমেন্ট। সবচেয়ে মিহি ও ৫৭০০ পিএসআই শক্তি সম্পন্ন বসুন্ধরা সিমেন্ট তৈরি হয় জার্মান প্রযুক্তিতে উন্নত কাঁচামাল দিয়ে।
সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা শহরের অদূরে মন্টু মিয়ার বাগান বাড়িতে অনুষ্ঠিত বসুন্ধরা সিমেন্ট রাজমিস্ত্রি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বসুন্ধরা সিমেন্ট পশ্চিম জোনের এজিএম (সেলস) মো. ইমাম ফারুক এ কথা বলেন।
ইমাম ফারুক বলেন, সিমেন্ট শিল্পে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উৎপাদনক্ষম আধুনিক কারখানা রয়েছে একমাত্র বসুন্ধরা সিমেন্টের। বর্তমানে দেশে সবচেয়ে বেশি সিমেন্ট উৎপাদন করছে বসুন্ধরা। এই সিমেন্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে জার্মান প্রযুক্তি, যা সিমেন্টের সূক্ষ্মতা বাড়িয়ে স্থাপনার দীর্ঘস্থায়ী শক্তির নিশ্চয়তা দেয়। উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে ব্যবহৃত হয় স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারাইজড প্রযুক্তি। বসুন্ধরা সিমেন্ট দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করলে লোনা লাগে না।
এ সময় তিনি ভবিষ্যতে রাজমিস্ত্রিদের সন্তানের শিক্ষাবৃত্তি ও নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
সম্মেলনে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামিমা পারভীন রত্নার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বসুন্ধরা সিমেন্টের খুলনা ডিভিশনের ডেপুটি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, বসুন্ধরা সিমেন্টের স্থানীয় পরিবেশক সালাউদ্দিন বাপ্পী ও রুহুল আমিন মিঠু।
মাল্টিমিডিয়ায় স্থাপনা নির্মাণের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বসুন্ধরা সিমেন্টের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. কাওছার হোসেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী শামিমা পারভীন রত্না। পরে রাজমিস্ত্রিদের অংশগ্রহণে র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া নলতার রাজমিস্ত্রি জাহাঙ্গীর আলম অনুভূতি ব্যক্ত করে বাংলানিউজকে বলেন, সম্মেলনে অংশ নিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি সবসময় বসুন্ধরা সিমেন্ট দিয়ে কাজ করি। বর্তমানে নলতার খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ (র.) এর রওজা শরীফে অনেকগুলো কাজ চলছে বসুন্ধরা সিমেন্ট দিয়ে।
একইভাবে শ্যামনগর থেকে আসা রাজমিস্ত্রি আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের আয়োজন অন্য কোনো সিমেন্ট কোম্পানি করে না। আমাদের নিয়ে ভাবার জন্য বসুন্ধরা সিমেন্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৫
পিসি
