ঢাকা: করদাতাবান্ধব পরিবেশ, জনকল্যাণে রাজস্ব আদায় ও পার্টনারশিপ স্থাপনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর বৃত্তের বাইরে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) এনবিআর সম্মেলন কক্ষে ‘জনকল্যাণে রাজস্ব: রাজস্ব আদায়ে চাই অব্যাহত সহযোগিতা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে জনগণকে কর প্রদানে উদ্ধুদ্ধ করবে এনবিআর। অর্থনৈতিক ও রাজস্ব সম্ভাবনাময় স্থানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করা হবে। স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণকে আয়কর, রাজস্ব প্রদান বিষয়ে সচেতন ও পরামর্শ দেবেন।
তিনি বলেন, আয়কর মেলার পর কর অঞ্চলে মেলার পরিবেশে কর সেবা দিতে কর্মকর্তারা উদ্ধুদ্ধ হচ্ছে। সারাদেশে করদাতা, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী দিনে এনবিআর পুরো সময় স্থানীয় পর্যায়ে চলে যেতে চায়। উপজেলা কর অফিসগুলোকে সক্রিয় করা হবে, কেন্দ্র থেকে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করতে কর্মকর্তারা ছুটে যাবেন। পার্টনারশিপ স্থাপনে এনবিআর বৃত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে।
আগামী বছর কর মেলা হবে নতুন রাজস্ব ভবনে। চট্টগ্রামে দেশের সর্বোচ্চ কর ভবন হবে। জেলায় জেলায় রাজস্ব ভবন হবে। যাতে সুন্দর পরিবেশে বসে কর্মকর্তারা কর সেবা দিতে পারে বলে জানান চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব সংলাপ, জাতীয় আয়কর মেলা, শীতকালীন আয়কর মেলা ছাড়াও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পার্টনারশিপ ডায়ালগ করা হচ্ছে।
রাজস্ব আদায় সম্পর্কে তিনি বলেন, এনবিআর নভেম্বরে রেকর্ড পরিমান রাজস্ব আদায় করেছে। এর প্রবৃদ্ধি অনুযায়ী রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও সম্ভব হবে।
ব্যাংক ও এনবিআরের সম্পর্ক স্থাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক গর্ভনরের কাছে বিশেষ আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ব্যাংক একাউন্টধারীদের ই-টিআইএন, বিআইএন নাম্বার দেখে। রাজস্ব আদায়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়। ঋণ গ্রহণ থেকে শুরু করে আমদানি রপ্তানি সব ক্ষেত্রে যাতে রাজস্ব আদায় করে ব্যাংকগুলো।
একই সঙ্গে রাজস্ব আদায় ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডার মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
‘করদাতা সন্তুষ্টিকরণ জরিপ’ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান জানান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, করদাতাদের সন্তুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এনবিআরে সুশাসন ও উন্নত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু হয়েছে। আমরা করদাতাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছি। কতটুকু করতে পেরেছি এ বিচার করতে এ জরিপ চালানো হবে বলে জানান তিনি।
এক মাসের মধ্যে ইসিআর মেশিন কার্যকর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাউন্সিল সভার নির্দেশনা অনুসারে এ সময় দেওয়া হয়েছে।
ইসিআর ব্যবহারে বাধ্য করতে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তা ও কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা তদারকি করবেন। এছাড়া মূসক গোয়েন্দাকে ইসিআর তদারকি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পণ্য ক্রয় ও সেবা নেওয়ার সময় ইসিআর ভালো করে দেখে ভ্যাট দিতে জনগণকে আহ্বান জানান চেয়ারম্যান।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
আরইউ/বিএস
** মুদ্রা পাচারে জড়িতদের তথ্য রয়েছে’