ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিদ্যুৎ মেলা

ভবিষ্যতের ভরসা বসুন্ধরা এলপি গ্যাস

হাসিবুর ররহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
ভবিষ্যতের ভরসা বসুন্ধরা এলপি গ্যাস ছবি: জি এম মুজিবুর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যে ফুরিয়ে আসবে।

এরপর কী হবে?

দেশের মানুষের ভবিষ্যত ও প্রাকৃতিক গ্যাস রক্ষায় পরিবেশ বান্ধব তরল এলপিজি (এলপি গ্যাস) ব্যবহারই হতে পারে এর সমাধান।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ মেলায় শনিবার (১২ ডিসেম্বর) আগত দর্শনার্থীরা বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের স্টল পরিদর্শন করে এমনটাই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

যানবাহন ও অ্যাপার্টমেন্টে এলপি গ্যাসে ব্যবহারের উপযোগী পদ্ধতি নিয়ে 'আলোর পথে আরো এগিয়ে' স্লোগানকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হয় জাতীয় বিদ্যুৎ মেলা।

মেলার বিভিন্ন স্টলের মধ্যে বসুন্ধরার এলপি গ্যাসের স্টলে ভিড় লক্ষণীয়। স্টলটিতে সাধারণ দর্শনার্থীদের পাশাপশি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊধর্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পরিদর্শনের আসেন।

স্টলটিতে বিভিন্ন যানবাহন ও বাসা বাড়িতে ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন সাইজের গ্যাসের সিলিন্ডার প্রদর্শন করা হয়। সিলিন্ডার থেকে প্রয়োজন মাফিক গ্যাস পাওয়ার জন্যও রয়েছে ভ্যাপারাইজার। এছাড়া, রয়েছে অটো গ্যাস কনভার্সনের নানা ধরনের কিটস।

বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের স্টলে কর্তব্যরত কর্মকর্তারা জানান, সিএনজির তুলনায় এলপিজি বা এলপি গ্যাস অনেক বেশি পরিবেশ বান্ধব ও নিরাপদ। প্রতি ঘনমিটারে সিএনজিতে যেখানে ৭-৮ কিলোমিটার যাওয়া যায়, সেখানে এ গ্যাসে যাওয়া যাবে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি। একই সঙ্গে ৪৫ ঘনমিটার গ্যাসের একটি সিলিন্ডারে চলবে সাড়ে চারশ’ কিলোমিটার। অর্থাৎ একবার গ্যাস নিলে এক সপ্তাহ নিশ্চিন্ত। আবার খালি সিলিন্ডারের ওজন সিএনজি সিলিন্ডারের অর্ধেকেরও কম।

গ্যাসের সিস্টেম লস ও প্রাকৃতিক গ্যাস রক্ষায় মিটার পদ্ধতিতে বড় অ্যাপার্টমেন্টে এলপিজি স্থাপনের ব্যবস্থাও করা যাবে। রাজধানীর লা মেরিডিয়ানসহ কয়েকটি উন্নত আধুনিক ভবনে এলপিজি গ্যাস ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।

মেলায় আবেদিন ইকুইপমেন্টের হেড অব সেলস আবু হাসান মো. মুকিতের সঙ্গে কথা হয় বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের স্টলে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সংরক্ষণে এটা সময়োপযোগী ধারণা। প্রয়োজনে এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে সরকারের ভর্তুকি দেওয়া উচিত।

বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের অপারেশন ও প্লানিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, জ্বালানির চাহিদা ও পরিবেশের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই বসুন্ধরা যানবাহন ও বড় অ্যাপার্টমেন্টে ব্যবহার উপযোগী সিলিন্ডার, ভ্যাপারাইজারসহ নানা ধরনের ছোটখাটো যন্ত্রপাতি তৈরি করছে, যার কিছু অংশ প্রদর্শনীতে আনা হয়েছে।

এ গ্যাসের ব্যবহার যানবাহনের ইঞ্জিনের জন্য সহায়ক আবার গ্যাস সংযোগহীন ভবনগুলোতেও গ্যাস ব্যাংক তৈরি করে এলপিজির ব্যবস্থা করা যাবে বলেও জানান তিনি।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত এ মেলা শনিবার (১২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি ১০৬টি প্রতিষ্ঠানের ৩০৩টি স্টল এ মেলায় স্থান পেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
এইচআর/টিআই

** বিদ্যুৎ মেলায় শেষ দিনেও উপচে পড়া ভিড়

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।