ঢাকা: বিদেশে মাছের রফতানি বাড়াতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারও ফিস প্রসেসিং প্লান্ট স্থাপন করবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক।
মাছ রফতানির দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিদেশে সুন্দরভাবে মাছ প্রসেসিং করে না পাঠালে তারা কিনতে আগ্রহী হয় না।
রোববার (০৩ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় রাজধানীর কাকরাইলে মৎস্য অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
‘মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূলকরণ’ বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দেশের উপকূলীয় তিন জেলা ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনায় ক্ষতিকর জালের বিরুদ্ধে সোমবার (০৪ জানুয়ারি) থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সম্মিলিত বিশেষ অভিযান শুরু করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তা, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ৠাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নীলবাংলা’ অর্থাৎ বিশাল সমুদ্র অঞ্চল জয় করেছেন। এ বিশাল সমুদ্র আরেকটি বাংলাদেশের সমান। সেখানে মাছ ছাড়াও আছে বিপুল পরিমাণ খনিজ সম্পদ। সম্পদ আহরণের শেষ নেই। কিন্তু তা করতে হবে পরিকল্পিতভাবে।
না হলে আমাদের অবস্থা হতে পারে থাইল্যান্ডের মতো। অপরিকল্পিত আহরণের ফলে থাইল্যান্ডের সমুদ্র সীমায় মাছ আজ শেষ হওয়ার পথে।
এক প্রশ্নের উত্তরে ছায়েদুল হক বলেন, আমাদের সমুদ্রে কী পরিমাণ মাছ আছে তা সার্ভে করার জন্য ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মালয়েশিয়া থেকে সার্ভে জাহাজ আনা হবে। জাহাজ নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর তাদের টাকা পেমেন্ট করা হবে। এরপর শুরু হবে সম্পদের পরিমাণ নিয়ে সার্ভে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৫
এসএস/ওএইচ/এএসআর