ঢাকা: শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে চলমান রয়েছে প্রাথমিক উন্নয়ন কর্মসূচি(পিডিপি-৩)। প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন ও বৈষম্য দূর করার লক্ষে চলমান প্রকল্পে আরও ১০ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দিচ্ছে বিশ্ববাংক।
মঙ্গলবার(০৫ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের (ইআরডি) এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডি‘র অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডাইরেক্টর মিস ইফফাত শরীফ অনুদান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
‘তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৩)’ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের অনুদানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় গমনোপযোগী ছেলেমেয়ের শিক্ষা ক্ষেত্রে সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি এবং পাঁচ বছর মেয়াদী প্রাথমিক শিক্ষা সমন্বয়করণ, শিক্ষার্থীদের সার্বিক গুণগত মান উন্নয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষায় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে ব্যবহৃত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠাবে সরকার। শিক্ষকদের পাশাপাশি কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরাও এ সুযোগ পাবেন। ভারত, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে শিক্ষকরা এ প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন।
শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে দু’দফায় ২৮ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণে পাঠাবে সরকার। বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠানোর জন্য থানা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
শিক্ষকদের উড়োজাহাজ ভাড়া, থাকা-খাওয়া এবং নির্দিষ্ট ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ ফি সরকার বহন করবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পিডিপি-৩ প্রকল্পের অধীনে প্রতি ব্যাচে ১৪ জন করে ৩৭টি ব্যাচ পাঠাবে সরকার। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষকরা দেশেই পিটিআই প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শিক্ষকদের বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠানোর এই উদ্যোগ। সরকারের এমন উদ্যোগে শিক্ষকদের দক্ষতা আরও বাড়বে এবং অন্যরাও উৎসাহিত হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৬
এমআইএস/পিসি