ঢাকা: সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ৮টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৈঠকে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইফাদ ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ‘অংশগ্রহণমূলক ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ খাত’ শীর্ষক প্রকল্পের ‘প্রকল্প বাস্তবায়ন পরামর্শকের (পিআইসি)’ প্রথম ও দ্বিতীয় ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৪ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় বাড়িয়ে এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
এছাড়া ‘কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প ফেজ-২’ এর জাইকা অংশের আওতাধীন ‘পানি শোধনাগার ও জলাধার নির্মাণ’ (প্যাকেজ নং কেডব্লিউএসপি ২/ডব্লিউ ১) এর জন্য ঠিকাদার নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যৌথভাবে এ কাজটি পেয়েছে- কোলন গ্লোবাল কর্পোরেশন ও কোবোটা কন্সট্রাকশনস। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮১ কোটি ৩ লাখ টাকা।
বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন স্টাডিজ রেসিপিয়েন্ট এক্সিকিউটেড ট্রাস্ট ফান্ড প্রজেক্ট’ প্রকল্পের আওতায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ড্রেজিং ফিজিবিলিটি অ্যান্ড ডিজাইন স্টাডি ফর প্রায়োরিটিজ আইডব্লিউটি রুটস’ শীর্ষক সমীক্ষা কাজের পরামর্শক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কাজে পরামর্শক নিয়োগ পেয়েছে- নেদারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান হ্যাসকোনিং ডিএইচভি।
এছাড়া আশুগঞ্জ থেকে বাখরাবাদ পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন লাইন সম্প্রসারণে তিনটি ইন্টারফেস মিটারিং নির্মাণে প্রায় ৫৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইমারসন প্রসেস ম্যানেজমেন্ট এশিয়া প্যাসিফিক প্রাইভেট লিমিটেড এ কাজের ঠিকাদার।
এ প্রকল্পের আওতায় আশুগঞ্জ থেকে বাখরাবাদ পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসবিশিষ্ট ৬১ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের লক্ষ্যে কুটুম্বপুর, ফেনী ও বাড়বকুণ্ডে ৩টি ইন্টারফেস মিটারিং নির্মাণ করা হবে। সিলেট অঞ্চলের উৎপাদিতব্য অতিরিক্ত গ্যাস বৃহত্তর ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরবরাহের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, বৈঠকে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় জব্বারগঞ্জ জিসি-দেওয়ানগঞ্জ ভায়া মাদারের চর সড়কে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ৩ হাজার ৫শ’ মিটার চেইনেজে ৫৮৫ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজের ঠিকাদার নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। যৌথভাবে এ কাজটি পেয়েছে দেশিয় প্রতিষ্ঠান- এমএম (বাসী)-সিই। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৭৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
এছাড়া ঢাকার উত্তরায় ১৮ নম্বর সেক্টরে ‘স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ ‘ই’ (গ্রুপ নং ৭, ৮, ৯ ও ১০) এর আওতায় একটি বেসমেন্টসহ ১৬ তলা বিশিষ্ট ৮টি ‘এ’ টাইপ অ্যাপার্টমেন্ট ভবন (আনুষাঙ্গিক সব সুবিধাসহ) নির্মাণে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ২৫০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটবিশিষ্ট ৮টি ভবনে মোট ফ্ল্যাট সংখ্যা হবে ৬৭২টি। সব কটি ভবন নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ৩৪১ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এর মধ্যে ৭ নং গ্রুপের কাজটি পেয়েছে যৌথভাবে- উন্নয়ন লিমিটেড ও বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স। এতে ব্যয় হবে ৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ৮ নং গ্রুপের কাজটি পেয়েছে যৌথভাবে- এসিএল ও টিইসি। এতে ব্যয় হবে ৮৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ৯ নং গ্রুপের কাজটি পেয়েছে- বিশ্বাস ট্রেডিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন। এতে ব্যয় হবে ৮৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর ১০ নং গ্রুপের কাজটি পেয়েছে যৌথভাবে- এআরকে ও এমআরএম। এতে ব্যয় হবে ৮৫ কোটি ৩ লাখ টাকা।
বৈঠকে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজের আওতায় ৮টি আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণের পরামর্শক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কাজে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে- গ্যারিকো ফ্রান্স এসএ। এতে ব্যয় হবে ৬৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এছাড়াও ২৫ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্রানুলিয়া ইউরিয়া সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি সরবরাহ করবে- মেসার্স প্রোটন ট্রেডার্স। প্রতি মেট্রিক টন ২৭৩ দশমিক ৩২ ডলার হিসাবে এ সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৬
এসই/আরএম