ঢাকা: সিঙ্গাপুরের মার্কেটে বন্ড ছাড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলো। এমনকি নির্দিষ্ট প্রকল্পের বিপরীতেও বন্ড ইস্যুর বিষয়ে ভাবছে সরকার।
রোববার(১০ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে ‘সিঙ্গাপুরে বন্ড তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া’ শীর্ষক সেমিনারে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সরকারের এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ এখন ভালো র্যাংকিংয়ে রয়েছে। তাই বন্ড ছাড়ার জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। বন্ড ছাড়তে পারলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়বে। তখন আর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টেনে আনতে হবে না। তারা নিজেদের থেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আসবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নিকটবর্তী ও সমৃদ্ধ মর্কেট হওয়ায় প্রথমেই সিঙ্গাপুরের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। সেখানকার সেমকো’র মতো হোল্ডিং কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। এই খাতে আরও ১৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন পড়বে।
এই বিশাল পরিমাণ অর্থ ঋণ নিলে সুদ দিতে গিয়ে ফতুর হয়ে যাবে বলেও হাসতে হাসতে মন্তব্য করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
আমরা মধ্যম আয়ের দিকে যাচ্ছি। এই সময়ে বিশ্বায়নের যুগে প্রবেশ করতে হলে বন্ড ছাড়তে হবে। এতে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন নসরুল হামিদ।
নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ কখনও কোন ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। সে কারণে বাংলাদেশের বণ্ডের প্রতি বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হবে।
বন্ডের নাম হতে পারে ‘পাওয়ার এনার্জি বন্ড’। বন্ড ছাড়া হলে ট্রেডিশন ওয়েতে চলা কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। তাতে দুর্নীতি কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার রিসার্চ কাউন্সিল এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. স্বপন কুমার বালা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিঙ্গাপুরের ল ফার্ম ড্রিউ এ্যান্ড নেপায়ারের করপোরেট ও ফাইন্যান্স ডিরেক্টর ফারহানা সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক নিচের রেটিংয়ে থাকা শ্রীলংকা তালিকাভুক্ত হয়েছে। এখানে তালিকাভুক্ত হতে হলে আবেদনের তারিখ হতে ৩ থেকে ৬ মাস সময় প্রয়োজন পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫
এসআই/জেডএম