আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা থেকে: গৃহস্থালী ও পাইপ ফিটিংসের যাবতীয় পণ্যের সমাহার নিয়ে বাণিজ্য মেলায় হাজির হয়েছে ন্যাশনাল পলিমার গ্রুপ। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে শতভাগ রপ্তানিমুখি জুতার প্রদর্শনী।
মেলা উপলক্ষে উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি এসব পণ্য ভ্যাট ছাড়া সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। এছাড়া ন্যাশনাল পলিমারের সব ধরনের পণ্যের সঙ্গে পরিচিতও হওয়া যাচ্ছে। এসব সেবা হাতের কাছে পাওয়ায় দর্শনার্থী ও ক্রেতারাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীতে মাসব্যাপী চলমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ন্যাশনাল পলিমারের স্টলের কর্মীরা জানালেন এমন তথ্য।
স্টল সূত্র জানায়, ন্যাশনাল পলিমার গ্রুপের তিনটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের পণ্য স্টলে প্রদর্শন করা হয়েছে। দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের এসব পণ্য সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করছেন একঝাঁক তরুণ কর্মী। ক্রেতাদের জানানো হচ্ছে পণ্যের দাম।
ভবন নির্মাণ, সেচ ও পানি উত্তোলনের জন্য যাবতীয় পাইপ ফিটিংসের আয়োজন নিয়ে ন্যাশনাল পলিমার ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের নানা পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ইউপিভিসি, পিপিআর, সিপিভিসি পাইপ অ্যান্ড ফিটিংস। সঙ্গে আছে ইউপিভিসি ডোর শিট সেলিং, যা ইতিমধ্যে দর্শনার্থীদের মন কেড়েছে।
বাসা বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিকের পণ্যের সমাহার নিয়ে ন্যাশনাল পলিমার ফিটিংস অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেডের রয়েছে তিন শতাধিক পণ্য। শিশু থেকে সব বয়সী মানুষের ব্যবহারের উপযোগী এসব পণ্য কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
এছাড়া ‘সুনির্ভাস’ ফুটওয়্যার লিমিটেডের রয়েছে সম্পূর্ণ রপ্তানিমুখী পস ব্রান্ডের জুতার সমাহার। ফুটওয়্যার শিল্পে ন্যাশনাল পলিমারের এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যাবে এ প্রতিষ্ঠানের জুতার প্রদর্শনী দেখে।
ন্যাশনাল পলিমার গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) শেখ মোরশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা সর্বপ্রথম পণ্যের গুণগত মানের দিকে নজর দেই। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ন্যাশনাল পলিমার পাইপ ফিটিংস, প্লাস্টিকের পণ্য ও জুতা উৎপাদন এবং বাজারজাত করে যাচ্ছে। গ্রাহকের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলেই দিনদিন প্রতিষ্ঠানটির পণ্যের সমাদর ও চাহিদা বাড়ছে।
ন্যাশনাল পলিমার গ্রুপের ব্র্যান্ড ম্যানেজার রবিউল কামাল বলেন, ন্যাশনাল পলিমারই প্রথম বাংলাদেশে সিপিভিসি ও পিপিআর পাইপ উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু করে। সেই থেকে সুনামের সঙ্গে এসব পণ্য বাজারজাত হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি বড় বড় প্রকল্পতেও ন্যাশনাল পলিমার গ্রুপের পণ্য ব্যবহার হচ্ছে। মান ভালো বলেই এসব পণ্য তারা ব্যবহার করছেন।
তিনি জানান, বাজারে ন্যাশনাল পলিমারের পণ্য কেনার সময় যে ভ্যাট দিতে হয়, মেলায় তা দিতে হচ্ছে না। ক্রেতাদের সম্মান করে এ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দামও কম নেওয়া হচ্ছে। এতে গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়াও পাওয়া গেছে।
সার্বিক বিষয়ে ন্যাশনাল পলিমার গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শেখ মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ন্যাশনাল পলিমারের প্রতিটি পণ্য শুধু দেশের গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেনি, বিদেশের গ্রাহকের আস্থাও অর্জন করেছে। রপ্তানিতে আমরা অনেক বড় অবদান রাখছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রায় প্রতিটি পণ্যই রপ্তানি হয়ে থাকে। নতুন যোগ হয়েছে জুতা। বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ন্যাশনাল পলিমার গ্রুপ।
১৯৮৭ সালে ন্যাশনাল পলিমার গ্রুপের যাত্রা শুরু। দিন যতই যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির পরিসর ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রাহকদের সন্তুষ্টির কথা মাথায় রেখেই কাজ করে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল পলিমার গ্রুপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
একে/জেডএস