ঢাকা: ভিটামিনসমৃদ্ধ ভোজ্যতেল সরবরাহ নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন দেশের তেল ব্যবসায়ী, পরিশোধনকারী ও প্রস্তুতকারীরা। সমস্যা কাটাতে পারছেন না, উল্টো নানা সময় তারা এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ার অভিযোগ করছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটি’র চতুর্থ সভা চলছিল। তেল সংশ্লিষ্টদের পক্ষে সেখানে অভিযোগ তুলে মন্ত্রীর কাছে সমাধান চান প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ফজলুর রহমান আগামী শনিবার থেকে ভোজ্য তেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত জানান। এরপর তিনি ভিটামিনসমৃদ্ধ তেল নিয়ে বিপাকে পড়ছেন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ থাকার বাধ্যবাধকতার আইনি নির্দেশনা পালনের ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। কিছু বিব্রতকর অবস্থায় আছি। অনুরোধ করবো, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে।
‘ভিটামিনের লোগোর লাইসেন্স পেতে ৩-৪ মাস অপেক্ষা করতে হয়। ফি দেওয়া, প্রক্রিয়া শেষ করা, সব কিছু করেও আমরা সেসব পাচ্ছি না, বাজারে তেল সরবরাহ করতে পারছি না। যার কারণে বাজারে একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য আবার মিল রিফাইনারি মালিকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়বেন’- বলেন তিনি।
ফজলুর রহমান বলেন, লোগোর লাইসেন্স মিল মালিকের কাছে না থাকায় কখনো কখনো ২০-২৫ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে। আমরা এটি পাওয়ার জন্য তিন মাস আগে আবেদন করেছি, ফি দিয়েছি, স্যাম্পল দিয়েছি। ওদের কবে সভা হবে, সেই সভায় সিদ্ধান্ত হবে, এর জন্য জেলে আমাদের যেতে হবে, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
‘জরিমানা ২৫ লাখ টাকা। ২৫ লাখ টাকাতো চাট্টিখানি কথা নয়। শনিবারে জরিমানা করলো, শনিবারতো ২৫ লাখ টাকা নিয়ে বসে থাকি না। তখন আমাদের লোক জেলখানায় যাবে। বিএসটিআই লোগোর লাইসেন্স আমাদের না দিলে কী করতে পারি। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে কথাও বলতে পারি না। বললে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা’- যোগ করেন তিনি।
এ নেতা আরও বলেন, তিন বছর ধরে আমরা এটি নিয়ে কথা বলছি। এই বয়সে যদি জেল খাটতে হয়, তাহলে তো ব্যবসা আমি করবো না। অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধান করে দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
এসকেএস/আইএ