ঢাকা: প্রথাগত টি-৮ ও টি-৫ টিউব লাইটের পরিবর্তে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি বাতির ব্যবহার জ্বালানি খরচ কমানোর পাশাপাশি ব্যবসায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
‘ওয়ার্কশপ অন প্রোমোশন অব এনার্জি এফিশিয়েন্ট এলইডি লাইটিং ইন গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ইন এনার্জি সার্ভিস কোম্পানি (এসকো) মডেল’ শীর্ষক কর্মশালায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে জার্মান সহযোগী সংস্থা জিআইজেড ও সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (স্রেডা) যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত স্রেডার চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।
কর্মশালায় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, গার্মেন্টসে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি বাতির ব্যবহার জ্বালানি খরচ কমানোর পাশাপাশি ব্যবসায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
বুয়েটের সেন্টার ফর এনার্জি স্টাডিজের পরিচালক ও তড়িৎকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান খান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, এলইডির মান নির্ধারণ এবং এ বাতি স্থাপনের পর তার যথোপযুক্ত দেখভালের জন্য এসকোকে সম্পৃক্ত করা এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য।
পোশাক শিল্পের সূক্ষ্ম কাজের জন্য প্রয়োজনীয় আলোর মাত্রা ঠিক রেখেও এলইডি বাতির ব্যবহার কতটা জ্বালানি সাশ্রয়ী হতে পারে তা এ প্রকল্পে দেখানো হয়।
প্রকল্পের অংশীদার পূর্বাণী গ্রুপের মালিকানাধীন করিম টেক্সাটাইলে পর্যাপ্ত আলোর চাহিদা মূল্যায়নের লক্ষ্যে একটি গবেষণা চালায় প্রকল্পের কারিগরি সহযোগী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
বিদ্যমান টি-৫ ও টি-৮ টিউব লাইটগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও সঠিক মাসের এলইডি বাতি দিয়ে প্রতিস্থাপিত করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বুয়েট। এনার্জি সার্ভিস কোম্পানি (এসকো) এর ভূমিকার বিষয়েও কর্মশালায় আলোকপাত করা হয়।
ছয় মাসের তুলনামূলক চিত্র পর্যালোচনা করে দেখানো হয়, এলইডি বাতিগুলো ব্যবহারে টি-৮ টিউব লাইটের তুলনায় ৫৭ শতাংশ ও টি-৫ টিউব লাইটের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কম জ্বালানি খরচ হয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান লাইটের পরিবর্তে এলইডি বাতি ব্যবহার করলে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ বছরে ২৫০ টনেরও বেশি কমে আসবে।
এ প্রকল্পের জন্য হ্রাসকৃত হারে সুদ দিতে রাজি হয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ও করিম টেক্সাটাইল, জিআইজেড, পূর্বাণী গ্রুপ এবং এসকো’র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বিজিএমইএ এর সিনিয়র সহ সভাপতি ফারুক হাসান, জিআইজেডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডেভিড হ্যানকক, পূর্বাণী গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, এনার্জি প্লাস ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ জোবায়ের ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউল হক খান।
জিআইজেডের করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস কর্মকর্তা রেজওয়ানা হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
আরইউ/এএ