সবজি মেলা থেকে: বর্ষার তিন থেকে চার মাস পরই উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ নদী তিস্তার পানি কমতে শুরু করে। প্রায় ছয় মাস পুরো তিস্তাতো বালুর চরে পরিণত হয়।
এসব অস্বস্তিতে যখন সময় পার করছেন ওই অঞ্চলের কৃষকরা তখন কিছুটা স্বস্তির বাতাস নিয়ে হাজির হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ‘তিস্তা বালুর চরে মিষ্টি কুমড়া চাষ’ প্রকল্প। আর এতে সফলতার দেখাও পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীতে চলা তিনদিনব্যাপী সবজি মেলা ও প্রদর্শনীতে তিস্তার বালুর চরে মিষ্টি কুমড়া চাষে সফলতার এ চিত্র দেখা দেখা গেলো।
খামারবাড়ি আ.কা.মু গিয়াস উদ্দিন মিল্কী মিলনায়তন চত্বরে অনুষ্ঠিত এ সবজি মেলা ও প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলে চোখে পড়বে একটি সবজির পিরামিড।
আর এই সবজির পিরামিডের প্রথম স্তরেই তিস্তার বালু চরে মিষ্টি কুমড়া চাষের চিত্রায়নটি তুলে ধরা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যোগে এ প্রদর্শনীটি করা হয়েছে।
স্টল সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৫ সালে তিস্তার নদীর চরগুলোতে স্থানীয়ভাবে কৃষকরা মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদ শুরু করেন। এ সময় বেসরকারি সংস্থা প্র্যাক্টিকেল অ্যাকশন কৃষকদের সহযোগিতা করে। ৎ
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার (কাউনিয়া, রংপুর) বাসুদেব রায় বলেন, বালুর চরে প্রথমে এক মিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ আকারের গর্ত করা হয়।
এরপর গর্তে ১০ থেকে ১২ কেজি গোবর, ৪০ গ্রাম ইউরিয়া ও ২৫ গ্রাম টিএসপি সার দেয়া হয়। ছয় থেকে সাতদিন পরেই বীজ বুনেন কৃষকরা। চারা হওয়ার পর সুস্থ সবল দুই থেকে তিনটি চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলা হয়।
ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই তিস্তার বালুর চরে মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদ শুরু হয়। ডিসেম্বর মাসের দিকে সপ্তাহে একবার করে সেচ দেন কৃষকরা। আর জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহে দুইদিন করে সেচ দিতে হয়। মার্চের পর একদিন পরপর সেচ দেয়া হয়।
একটা মিষ্টি কুমড়ার গাছে গড়ে দুই থেকে তিনটি কুমড়া ধরে। প্রতিটি কুমড়ার গড় ওজন ১০ থেকে ১৫ কেজি হয়। কাউনিয়ায় তিস্তার বালুর চরে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া আবাদ হচ্ছে। প্রতিবছরই এর পরিমাণ বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
একে/আরআই