ঢাকা: দেশের প্লাস্টিক পণ্যের প্রসার ও রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে বুধবার (২০ জানুয়ারি) থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে একাদশ আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক সামিট-২০১৬। চার দিনব্যাপী এ সামিট চলবে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত।
বুধবার সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সামিটের উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) এই সামিটের আয়োজন করছে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে পুরানা পল্টনে বিপিজিএমইএ-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি জসিম উদ্দীন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্লাস্টিক খাত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। এই খাতের বিকাশ আরও ত্বরান্বিত করতে প্লাস্টিক সামিট অসামান্য ভূমিকা রাখতে পারে।
১১তম প্লাস্টিক সামিটে ২১টি দেশের ৩৫০টি স্টল থাকবে। সামিটে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, জাপান, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, তাইওয়ান, হংকং, মিশর, তুরস্ক, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া ও পাকিস্তান থেকে আসা উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মেলায় মেশিনারিজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অংশগ্রহণ করবে।
বিপিজিএমইএ’র সভাপতি জসিম উদ্দীন বলেন, এবার সামিটে থাকছে বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সও। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে, যাতে পরিবেশসম্মত উৎপাদন প্রক্রিয়া ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে খাত সংশ্লিষ্টরা ধারণা পেতে পারেন। সেমিনারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
সামিটের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এ এইচ এম মোস্তফা কামালের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন, ইউসুফ আশরাফ, ফেরদৌস ওয়াহেদ, শাহেদুল ইসলাম হেলাল, সামিম আহমেদ, সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, কে এম ইকবাল হোসেন, কাজী আনোয়ারুল হক, গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক শাহজাহান, খোরশেদ আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
টিএইচ/জেডএস