ঢাকা: স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ঋণের টাকা আদায় করতে তৃতীয়পক্ষ দিয়ে হয়রানির অভিযোগে করা রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি শামীম হাসনাইন ও মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল আলীম চৌধুরীর পক্ষে সম্প্রতি রিটটি করেন হাইকোর্টের আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়।
রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের আইনে ব্যাংক ঋণের টাকা আদায়ের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ থাকলেও তৃতীয় পক্ষ-ব্যক্তি বা পেশিশক্তি ও বল প্রয়োগ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ । বিষয়টি যেকোনো ব্যক্তির নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্নের সামিল ।
এছাড়াও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও ‘স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আদালতের শরণাপন্ন হন আলীম চৌধুরী।
শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ‘স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে আইনবহির্ভুত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল আলীম চৌধুরী ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ‘স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’ ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে।
মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর ঋণ গ্রহণের সময় বন্ধক দেওয়া সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য ‘স্নাইপার সিকিউরিটাস’ নামের একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয় স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
পরবর্তীতে ‘স্নাইপার সিকিউরিটাস’ কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে আলীম চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করতে থাকে। ঋণ আদায়ের জন্য বিভিন্ন অবৈধ ও বেআইনি উপায় অবলম্বন করে ।
হয়রানি ও নাজেহাল থেকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ ও ডবলমুরিং থানায় স্নাইপার সিকিউরিটাসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আলীম চৌধুরী।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার তৃতীয় পক্ষ দিয়ে হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ট্রিগ্রিটি ও কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করেন আলীম চৌধুরী । বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বিচার বিভাগের রায়কে যথাযথভাবে পরিপালন করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ব্যপারে যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছেন, তা পালন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
এসই/এএসআর