ঢাকা: দেড় কিংবা দুই কোটি মানুষের চাপে জর্জরিত, যানজটে নাকাল ঢাকা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন ও বৃহত্তর উন্নয়নের মধ্য দিয়েই যা থেকে মুক্তি সম্ভব।
বাংলাদেশ সরকার নিজে ও জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (জাইকা) এতে অর্র্থায়ন করছে। বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কে।
উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই মেট্রোরেলের লাইন। পুরোটাই এলিভেটেড মেট্রোরেল সিস্টেম (এমআরটি লাইন-৬) অর্থাৎ মাটি থেকে উপর দিয়ে চলে যাবে।
এই মেট্রোরেল হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম দ্রুততম সর্বাধুনিক গণপরিবহণ। আর এটি সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব করেই তৈরি করা হবে। এমআরটি লাইন-৬ এর আওতায় মোট ১৬টি স্টেশন তৈরি করা হবে।
যাত্রীরা স্টেশনের ঢোকার সময় অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন। এতে দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করে ভোগান্তির শিকার হয়ে এখন যেভাবে গণপরিবহন ধরতে হয় তা থাকবে না।
প্রতিটি স্টেশনে থাকবে সুপরিসর প্ল্যাটফর্ম, যাতে সাড়ে তিন মিনিট পর পর ট্রেন এসে দাঁড়াবে। ট্রেনের ভেতরে থাকবে যাত্রী বসার সুপরিসর আরামদায়ক ব্যবস্থা।
ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে এসব মেট্রোট্রেন।
উত্তরা নর্থ, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা সাউথ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণ করবে এসব ট্রেন।
সড়কের মাঝ বরাবর মাথার ওপর দিয়ে এমআরটি লাইন সিক্স এগিয়ে যাবে। এতে সামন্য বাধার মুখেও পড়বে না অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থা। এতে ভ্রমণ হয়ে উঠবে যানজটমুক্ত নিরাপদ ও সাশ্রয়ী।
এমআরটি লাইন-৬ এর বাস্তবায়ন হবে আধুনিক ঢাকা আর একুশ শতকের ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আরেকটি মাইল ফলক।
বাংলাদেশ সময় ০৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
এমএমকে