ঢাকা: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় হকার, ভিক্ষুক ও ভাসমান দোকানিদের আনাগোনা বেড়েছে। বাধাহীনভাবে তারা মেলা জুড়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছেন।
হকার ও ভিক্ষুকরা জানায়, বিশেষভাবে ম্যানেজ করে ও টিনের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ফাঁক দিয়ে তারা মালামাল নিয়ে মেলায় প্রবেশ করছেন।
মেলায় আগত আনোয়ার নামে এক দর্শনার্থী বলেন, এটি একটি আন্তর্জাতিক মেলা। যেখানে দেশি-বিদেশি বহু দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ী আসেন, সেখানে কিভাবে হকার, ভিক্ষুক এলো! মেলা কর্তৃপক্ষ কী করছেন?
আরেক দর্শনার্থী রাসেল বলেন, মেলাতেও ফুটপাতের হকার ও ভিক্ষুকের দেখা যাচ্ছে। এতে মেলার পরিবেশ আর থাকলো না।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, অর্ধশতাধিক হকার, ভিক্ষুকসহ অন্যান্য ভাসমান দোকানি পুরো মেলা জুড়ে সক্রিয়। তারা হাঁকডাক করে ফুটপাতের মতো কাপড়-চোপড়, পেয়ারা-আম, আচার, বেলুন, গহনা ও অন্যান্য খেলনা জাতীয় পণ্য বিক্রি করছেন।
এছাড়া মেলার ভেতরে ভিড়ের মধ্যে বহু ভিক্ষুককে ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখা গেছে। কিন্তু এসব হকার ও ভিক্ষুক উচ্ছেদে মেলা কর্তৃপক্ষের কোনো অভিযান চোখে পড়েনি।
মেলা আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র অবহেলার কারণে হকার, ভাসমান দোকানি, ভিক্ষুকদের আনাগোনা বেড়েছে বলে দর্শনার্থীদের অভিযোগ।
সন্ধ্যার পর কয়েকজন যুবককে মেলা প্রাঙ্গণের দক্ষিণপাশে রাস্তায় কাপড়-চোপড় মেলে হাঁকডাক করে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
জানতে চাইলে যুবকদের একজন সুজন বলেন, মেলায় তাদের কোনো স্টল নেই, বিশেষভাবে ম্যানেজ করে গেট দিয়ে মেলায় প্রবেশ করেছি। তবে মালামাল অন্য পথ দিয়ে আনা হয়েছে।
হাইউস নামে এক হকার মেলায় ঘুরে ঘুরে বেলুন বিক্রি করছিলেন। তিনি বলেন, পুলিশ দেখলে দৌড় দেই। ধরতে পারলে মালামাল নিয়ে যায়। তারপর সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেয়।
তিনিও মেলার টিনের বাউন্ডারির ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করেছেন বলে দাবি করেন।
মেলায় রাস্তার উপর বসে বহু ভিক্ষুককে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। তাদের কারণে ভিড়ের মধ্যে দর্শনার্থীদের চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে বলে বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী অভিযোগ করেন।
মেলায় স্টল সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, একটি আন্তর্জাতিক মেলার ভেতরে দেশি-বিদেশি বহু দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ীরা আসছেন, সেখানে বাইরের হকার, ভিক্ষুক ও ভাসমান দোকানিদের কারণে মেলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
মেলায় হকার, ভিক্ষুকদের আনাগোনার বিষয়ে কথা বলতে দুপুরে মেলা প্রাঙ্গণের পূর্বপাশে স্থাপিত আয়োজক প্রতিষ্ঠান কার্যালয়ে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, স্যাররা বিকেলের দিকে মেলাতে আসবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫
টিএইচ/এমজেড/জেডএম