ঢাকা: তথ্য গোপনের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিষয়ে আইন অনুসারে রিভিউ আবেদন করতে পারবে ফারমার্স ব্যাংক।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) এক আবেদনের নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি।
ফারমার্স ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আবদুল বাসেত মজুমদার ও মওদুদ আহমদ।
মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের জানান, একটি ঋণের তথ্য গোপন করার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৩ জানুয়ারি ফারমার্স ব্যাংককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে, যা দশদিনের মধ্যে চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলা হয়। কিন্তু ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১০৯(১২) অনুসারে জরিমানা করার পর ১৪ দিনের মধ্যে তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবে। কিন্তু ফারমার্স ব্যাংককে সময় দেওয়া হয়েছে মাত্র দশদিন। তারা আইনটা পড়েও দেখেনি।
এর বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন ফারমার্স ব্যাংকের হেড অব ব্যাংকিং অপারেশন্স প্রকাশ চন্দ্র মোদক। এ রিটের প্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের জরিমানার আদেশ চারমাসের জন্য স্থগিত করেন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
পরে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে যান রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২৫ জানুয়ারি চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য নিয়মিত আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আবেদনটি নিষ্পত্তি করে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে ফারমার্স ব্যাংকে ১০ লাখ জরিমানার বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
তাই আপাতত ১০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে না ফারমার্স ব্যাংককে।
০৩ জানুয়ারি এক চিঠিতে ফার্মাস ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ব্যাংক সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারে ও পরিকল্পিতভাবে ঋণের তথ্য গোপন করায় ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ১০৯ (১১) ধারা অনুযায়ী ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। দণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসের সঙ্গে রক্ষিত ফারমার্স ব্যাংকের হিসাব থেকে তা বিকলন করা হবে। অনিয়মটির জন্য তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানোর কথা বলা হয় চিঠিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
ইএস/এএসআর