ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাটে ৬ মাসে রফতানি কমেছে ৬ মিলিয়ন ডলার

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
পাটে ৬ মাসে রফতানি কমেছে ৬ মিলিয়ন ডলার

ঢাকা: পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৬ মিলিয়ন ডলার কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্র।
 
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর ছয় মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি হয়েছিলো ৪২৯ মিলিয়ন ডলার।

কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থবছরে একই সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি কমে দাঁড়িয়েছে ৪২৩ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ছয় মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি কমেছে ৬ মিলিয়ন ডলার।
 
শুধু যে রফতানি কমেছে তাই নয় এই সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও ব্যর্থ হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪৪৮ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু রফতানি হয়েছে ৪২৩ মিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ শতাংশ কম বলে জানায় ইপিবি সূত্র।
 
সূত্র আরও জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে পাটের ব্যাগ রফতানি। জুলাই-ডিসেম্বর মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ রফতানি কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পাটের ব্যাগের রফতানি আয় ছিলো ৮৪ মিলিয়ন ডলার, যা কমে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ মিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে পাটের ব্যাগের রফতানি কমেছে ২৪ মিলিয়ন ডলার।

তবে ‘র’ পাটের রফতানি বেড়েছে ৩২ শতাংশ। গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ‘র’ পাটের রফতানি ৫৬ মিলিয়ন ডলার ছিলো, চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা বেড়ে হয়েছে ৭৪ মিলিয়ন ডলার। পাটের অন্য পণ্যসামগ্রীর রফতানিও ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেবল পাটের ব্যাগের রফতানি কমায় পুরো পাট ও পাটজাত পণ্যের সামষ্টিক রফতানি কমেছে ৬ মিলিয়ন ডলার।
 
পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি কমে যাওয়ায় বিচলিত নন সংশ্লিষ্টরা, বাংলানিউজকে এমনটা জানিয়েছেন পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন।
 
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বর্তমানে পাটের রফতানির তুলনায় দেশিয়ভাবে পাটের ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে নজর দিচ্ছি। সম্প্রতি অনির্দিষ্টকালের জন্য কাঁচা পাটের রফতানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাই পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি কিছুটা কমে এসেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, পাট ও পাটজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এবং পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩ যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার। এতে আমাদের চাষিরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাবেন। আমরা স্বনির্ভর হতে পারবো।
 
২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর সব ধরনের কাঁচা পাট রফতানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পণ্যে পাটের মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত এক আদেশে বলা হয়, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর সঠিক বাস্তবায়নের জন্য পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ এর ৪ ও ১৩ ধারা মোতাবেক যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কাঁচা পাট রফতানি বন্ধ রাখা হলো।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
ইউএম/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।